পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8e२ যশোহর-খুলনার ইতিহাস রাজ্যলাভ করেন (১৯১১)। দিল্লীদরবার হইতে র্তাহাকে ‘মহারাজ উপাধি প্রদত্ত হয় । o বাঙ্গালার ইতিহাসের সহিত এই রাজবংশের ঘনিষ্ট সম্পর্ক আছে । ভবানন্দ যেমন হিন্দুর নিকট হইতে মোগলের হাতে স্বদেশকে অপর্ণ করিবার সহায়তা করিয়াছিলেন, তাহার অধস্তন বংশধর কৃষ্ণচন্দ্র ও তেমনি, মোগলের হস্ত হইতে রাজ্য কাড়িয়া লইয়া, বৈদেশিক ইংরাজকে দিবার জন্ত যে ষড়যন্ত্র হয়, তাহার অন্ততম প্রধান নায়ক ছিলেন। ভবানন্দের কার্য্যের পুরস্কার তাহার ফয়মাণে পাওয়া যায়, তাহার ১৪ পরগণা লাভের এবং কানুনগো পদ প্রাপ্তির সনন্দ এখনও কৃষ্ণনগর রাজবাটীতে জীর্ণ অবস্থায় রক্ষিত হইতেছে ; আর চক্রান্তকারী কৃষ্ণচন্ত্রের পুরস্কার চিহ্ন কৃষ্ণনগর রাজবাটীতে সদৰ্পে প্রদর্শিত হইতেছে। সিংহদ্বার দিয়া প্রবেশ করিব মাত্র দেখা যায়, সম্মুখে একটি প্রকাও পুরাতন কামান সযত্বে রক্ষিত হইতেছে ; উহার •isco Good ofts “Plassey Gun Presented by Lord Clive, 1757” দেশদ্রোহী ভবানন্দ যে রাজ্য পত্তন করেন, তাহার উপযুক্ত বংশধর কৃষ্ণচন্দ্রের সময় তাহার চরমোন্নতি হয়। তদবধি, কি জানি কিসের ফলে, ক্রমেই সে রাজ্যের পতন হইতেছে ; কোথায় পরিণতি, কে জানে ? অর্জন করিবার বেলায় অতি কম রাজ্যই খাটি ধৰ্ম্ম উপায়ে উপার্জিত হয়, শুধু নদীয় রাজ্যের কথা নহে । কিন্তু আনন্দের বিষয়, এই রাজ্যের রাজ্যাধিকারিগণ অধিকাংশেই অজস্র দানে, ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে এবং শিল্প সাহিত্যের সমুন্নতি কল্পে মুক্তহস্ত ছিলেন। তন্মধ্যে সৰ্ব্বগ্রগণ্য রাজেন্দ্র কৃষ্ণচন্দ্র। র্তাহার স্বন্দর সুস্পষ্ট স্বাক্ষর সম্বলিত দেবোত্তর, ব্রহ্মোত্তর ও মহাত্ৰাণের অসংখ্য সনন্দ, শুধু নদীয় জেলায় নহে, যশোহর-খুলনার বহুস্থানে বহুগৃহে এখনও সযত্বে রক্ষিত হইতেছে। * আমি স্বচক্ষে ঐক্লপ বহু সীমা গঙ্গাসাগরের ধার। পূৰ্ব্ব সীমা ধূলাপুর বড় গঙ্গা পার।" কালিকামঙ্গল, ভারওচত্র । এখানে বলেশ্বর নদীকেই বড়গঙ্গা বলা হইয়াছে। "সম্বন্ধ নির্ণয়” ৭২৩-২৪ পৃঃ

  • “নবদ্বীপধিপতির রাজ্যে বে ব্রাহ্মণ রাজদত্ত ব্ৰহ্মত্র ভূমি প্রাপ্ত হয়েন নাই, তিনি ব্রাহ্মণ বলিয়াই গণ্য নহেন। রাজজ্ঞাতিগ৭ও হস্ৰাহ্মণদিগকে ভূসম্পত্তি দান করিয়াছেন।" সম্বন্ধ নির্ণয়, লালমোহন বিতনিধি, a৭৩ধৃঃ