পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট 8ο 6' আক্রমণ কালে তাহার বয়স ৩০ বৎসর। তিনি ৮১ বৎসর পূর্কে রাজসরকারে কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইয়া ক্রমে অসামান্ত প্রতিভাবলে দেওয়ানের পদ লাভ করেন। মানসিংহের সহিত গুপ্তভাবে পরিচিত হইয়া তিনি প্রতাপের সহিত যুদ্ধকালে সিংহরাজাকে কি সাহায্য করিয়াছিলেন তাহ জানিবার উপায় নাই। তবে কাৰ্য্যক্ষেত্রে দেখিতে পাই, প্রতাপের পতনের পর লক্ষ্মীকান্ত একজন প্রধান ভূস্বামী হন। মানসিংহ তাঙ্গকে জাহাঙ্গীর বাদশাহেব নিকট হইতে মাগুর, খাসপুর, কলিকাতা, পাইকান ও আনোয়ারপুর এই পাচ পরগণা এবং হাতিয়াগড় পরগণার কতকাংশের সনন্দ আনিয়া দেন। - এ সনদ ১৬১০ খৃ: অন্ধের পূৰ্ব্বে প্রদত্ত হইয়াছিল বলিয়া মনে হয় না। সনন্দ পাইলেও সমস্ত জমিদার স্ববলে আনিতে প্রায় দুইপুরুষ লাগিয়াছিল। লক্ষ্মীকান্ত গোপালপুরে বাস করেন ; তৎপুত্ৰ গৌরহরি নিমতী-বিরাট বাসস্থান নির্দেশ করেন। তাহার পৌত্র কেশবচন্দ্র মজুমদার মুর্শিদকুলি খাঁর সময় বাঙ্গালার দক্ষিণ চাকলার রাজস্ব আদায়ের কৰ্ম্মচারী (জমিদার) ছিলেন এবং রায়চৌধুরী উপাধি পান। জমিদারীর সুবন্দোবস্তের জন্ত তিনি উচ্চার কেন্দ্রস্তলে বড়িশায় আসিয়া বাস করেন । তদবধি এই বংশ বড়িশার সাবর্ণ চৌধুরী নামে খ্যাত ইয়াছে। কেশবের পুত্র শিবদেব বিখ্যাত ব্যক্তি ; তিনি অত্যন্ত দানশীল, সদাশয় ও ধৰ্ম্মনিষ্ঠ । যে কেহ তাহার নিকট প্রার্থী হইলে, কখনও প্রত্যাখ্যাত হইত না । এইরূপে তিনি সকলের সন্তোষ বিধান করিয়া সন্তোষ রায় নামে সুপরিচিত হন। তিনি চরিমেলের বিশিষ্ট কুলীন ব্রাহ্মণ দিগকে ভূসম্পত্তি দিয়া বড়িশায় বসতি করান, এবং কলিকাতা অঞ্চলে তিনিষ্ট সমাজপতি ছিলেন। কথিত আছে, তিনি লক্ষবিঘা জমি দেবোত্তর ও ব্রহ্মোত্তর দিয়াছিলেন। পূৰ্ব্বে বলিয়াছি (৮৪পূঃ) বসন্থরায় কালীঘাটে মায়ের জন্ত একটি ক্ষুদ্র মন্দির নির্মাণ করিয়া দেন, সন্তোষ রায় শেষ জীবনে ঐ মন্দির ভাঙ্গিয় বর্তমান বিরাট মন্দিরের কার্য্যারম্ভ করেন এবং তাঙ্গার মৃত্যুর কয়েক বৎসর পরে উচ্চার কার্য্য শেষ হয় (১৮০৯)। ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি আওরঙ্গজেবের পৌত্র বঙ্গাধিপ আজিম উশ্বানকে ১৬• • • টাকা নজর দিয়া যে আদেশ পান, তদনুসারে সাবর্ণ চৌধুরীবংশীয় রামর্চা, মনোহর ও রামভদ্র রায় চৌধুরীর

  • ফাগীক্ষেত্র দীপিকা, ৭৮ধু: |