পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

》や ধশোহর-খুলনার ইতিহাস ছিলেন। দ্বায়ুদের সময়ে রাজনৈতিক ঘটনাবলীর সহিত র্তাহারা এরূপ ভাবে বিজড়িত যে, তাহাদের কথা বাদ দিয়া দায়ুদের ইতিহাস আলোচনা করা যায় না। মোগল-বিজয়ের সময় বঙ্গের প্রধান প্রধান জমিদারগণ পাঠানের পক্ষভুক্ত হইয়া বহুকাল বঙ্গের রাজতত্ত্ব লইয়া বিবাদ করিয়াছিলেন। এই জমিদারগণ সাধারণতঃ ভৌমিক বা ভূঞা নামে কথিত হন, এবং তাহদের মধ্যে অনুন বার জন বিশেষ ভাবে প্রাধান্তলাভ করিয়াছিলেন। উহাদিগকে বীরভূঞা বলিত। প্রতাপাদিতা এই বারভুঞার অন্ততম এবং অগ্রগণ্য। তাহার কথা বলিতে গেলে বারভুঞার পরিচয় সৰ্ব্বাগ্রে দিতে হয়। এই জন্তই আমরা এক্ষণে প্রথমতঃ বারভুঞার প্রসঙ্গ আলোচনা করিয়া পরে প্রতাপাদিত্যের পূর্বপুরুষের পরিচয় দিব। এবং সঙ্গে সঙ্গে দায়দের ইতিহাস বিবৃত করিয়৷ বঙ্গের সাধারণ ইতিহাস হইতে যশোরের কাহিনী পৃথক্ করিয়া লইব । তৃতীয় পরিচ্ছেদ-বঙ্গে বীরভূঞা ১১৯৮ খৃষ্টাব্দে বঙ্গদেশে প্রথম মুসলমান আক্রমণ হয় এবং সেই সময়ে পাঠান রাজত্বের ভিত্তি স্থাপিত হয়। কিন্তু একদিনে সমগ্র বঙ্গ অধিকৃত হয় নাই ; এমন কি পূৰ্ব্ববঙ্গ শাসনাধীন করিতে প্রায় দেড়শত বর্ষ লাগিয়াছিল। ততদিন বঙ্গের রাজত্ব দিল্লীর অধীন ছিল। সমগ্র বঙ্গ মুসলমান অধিকারে আসিবার পর একদিন এক বঙ্গীয় পাঠান শাসনকর্তা দিল্লীর অধীনতা অস্বীকার করিয়া, প্রকাশু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ( ১৩৪০)। সেই সময় হইতে ১৫৭৬ খৃষ্টাব্দে আকবর কর্তৃক বঙ্গবিজয়ের কাল পর্যন্ত বঙ্গীয় স্বাধীন-শাসন যুগ ধরা যাইতে পারে। কিন্তু স্বাধীন পাঠান রাজত্বের পতন হইলেই যে মোগল শাসন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহী নহে। পাঠানের বিজিত হওয়ার পর দেশের মধ্যে ছড়াইয়। পড়িল ; প্ৰজলিত বহ্নি ভন্মাচ্ছাদিত হইল ; উহা নির্বাপিত না হইয়া, বরং ভিতরে ভিতরে সন্ধুক্ষিত হইতে হইতে, অশান্তি সৰ্ব্বব্যাপী করিয়া তুলিল। যে যেখানে নেতার মত দাড়াইতে পারিল, সেই নেতৃত্ব পাইল ; শত শত পলায়িত হিন্দু পাঠান তাহার পতাকার নিয়ে আশ্রয় পাইল। যাহারা পূৰ্ব্বে সামন্ত রাজা