পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8:ዩ› যশোহর-খুলনার ইতিহাস এমন হীন দশায় পতিত যে শিক্ষাদীক্ষা ও প্রাচীন কীৰ্ত্তিকাহিনীর প্রতি সম্পূর্ণ উদাসীন হইয়া, কেবল মাত্র উদরান্নের চিন্তায় দিন যাপন করিতেছেন। পাশ্ববৰ্ত্তা রঘুনাথপুরে এই বংশের প্রতিষ্ঠিত ৮কালীবাড়ী এবং শিলাময় কৃষ্ণচন্দ্র ও পিতলের বাধিক বিগ্রহ আছেন। ৮কালিকা দেবীর মূৰ্ত্তি নাই, ঘটে পূজা হয়। অাধারমাণিকের ভট্টাচাৰ্য্যগণ এখনও এই বংশের গুরু। মুকুটমণির পৌত্র বৈদ্যনাথ হইতে এই বংশের একটি শাখা এখানে প্রদর্শিত হইতেছে — বৈদ্যনাথ –হরিদেব-ভৈরবচন্দ্ৰ—জগন্নাথ-রাজকুমার, দণ্ডী ও নন্দ ; নন্দ এবং তৎপুত্ৰ নলিনী ও শশী জীবিত আছেন। রাজকুমারের পুত্ৰ ঐশ ও ভূপেশ এবং দণ্ডীর পুত্র সুরেন্দ্র এখনও বংশ-প্রবাহ অব্যাহত রাখিয়াছেন । মানসিংহের সহিত প্রতাপের সন্ধি হইবার সময়ে, রাঘব রায় তাহার পৈতৃক সম্পত্তি অর্থাৎ যশোর-রাজ্যের ছয় আন অংশ দাবি করেন ; উহ ন দিবার কারণ ছিল না। তবে লক্ষ্মীকান্তকে কালীঘাটের সন্নিকটবৰ্ত্তী পরগণাগুলি দেওয়ার প্রয়োজন হইল ; কারণ লক্ষ্মীকান্ত বাল্যকালে কালীঘাটেই প্রতিপালিত এবং বয়স্ক হইয়৷ তথায় বসতি করেন। লক্ষ্মীকান্তকে সন্তুষ্ট না করিলে মানসিংহের যে গুরুদক্ষিণ দেওয়া হয় না। উহাকে কয়েকটি পরগণা দিতে গেলে রাধবের রাজ্যাংশ পশ্চিম দিকে সংকীর্ণ হইয়া পড়িল । সুতরাং তঁহাকে প্রতাপের রাজধানীর নিকটবৰ্ত্ত কয়েকটি পরগণ দিতে হইল। পূৰ্ব্বে কালিন্দীর থাল প্রতাপের নিজ অংশের পশ্চিম সীমা ছিল, এক্ষণে যমুনা নদী পশ্চিম সীমা চষ্টল। যমুনার পশ্চিম তীৰস্থ ভূভাগের নাম হইল ধূলিয়াপুর পরগণা ; পরে কালিন্দা-স্রোত প্রবল হইয়া ইহাকে দ্বিধা বিভক্ত করিয়াছিল ; তখন যমুনা ও কালিন্দীর মধ্যবর্তী স্থান ধূলিয়াপুর এবং কালিন্দাপারে পারস্থলিয়াপুর হইল। উভয় পরগণ রাঘবের হস্তে পড়িল। যমুনার উত্তরে বর্তমান কালীগঞ্জের নিকট যে বাজিতপুর পরগণা (২২২ পৃ: ) ছিল, তাহাও রাঘবকে প্রদত্ত হইল। এই বাজিতপুরের উত্তরাংশেও তাঙ্গর রাজ্য অনেক দুর বিস্তৃত ছিল। কালে সেই অংশের নাম হয় সরফরাজপুর পরগণা। তাহার কথা আমরা পরে বলিব। এই সকল পরগণাব অধিকারী হইয়া রাঘব রায় কিছু দিন যশোহরের পুরাতন রাজধানীতে রাজত্ব করেন।