পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহর-রাজবংশ 8:ፃ রাজা বসন্ত রায়ের চারিটি বিবাহ ও এগারটি পুত্র। তন্মধ্যে প্রথম পত্নী ঘোষকস্তার কোন সন্তান ছিল না। বস্তু দুহিতার ছয় পুত্রের মধ্যে জ্যেষ্ঠ ঐরাম অকালে মৃত্যুমুখে পড়েন ; তখন সে পক্ষে জ্যেষ্ঠ পুত্র গোবিন্দ ; তিনি প্রতাপ হস্তে নিহত হন। অবশিষ্ট চারি জনের মধ্যে আমরা কেবল সৰ্ব্বকনিষ্ঠ রমাকান্তের বিশব সন্ধান পাই । যুদ্ধবিগ্রন্সের সময় তিনি চাদ রায় প্রভৃতির সহিত বাগেরহাট অঞ্চলে সিংহগাতি গ্রামে মাতুলালয়ে ছিলেন । তথায় ব্রাহ্মণরাঙ্গদিয়াব পূৰ্ব্ব সীমার খলসা গ্রামের সন্নিকটে “রমাকান্ত রায়ের পুকুর” নামক একটি পদ্মসমাকীর্ণ জলাশয় দেখিতে পাওয়া যায়। কৃষ্ণরায় দত্তের কস্তাদ্বয়ের মধ্যে একজনের দুই পুল, চণ্ডীদাস ও নারায়ণ। চণ্ডীদাস সম্ভবতঃ বসন্ত রায়ের মৃত্যুর পূৰ্ব্বে পরলোকগত হন। নারায়ণের বংশ ছিল, কিন্তু র্তাহারা নগণ্য। অপর দত্ত কস্তার গর্ভূজাত তিন পুত্র, তন্মধ্যে রাঘব বা কচু রায় জ্যেষ্ঠ, চন্দ্রশেখর বা চাদ রায় মধ্যম এবং রূপরায় কনিষ্ঠ ! রূপরায়ের বিশেষ পরিচয় জানি না । তাহা ইষ্টলে বসন্ত রায়ের মাত্র তিন পুত্রের সহিত পরবর্তী ইতিহাসের সম্পর্ক আছে —রাধব রায়, চাঁদ রায় ও রমাকাস্ত রায় । এই তিন জনের মধ্যে রাঘব ও চাদ প্রায় সহোদর ভ্রাতা এবং তাহাদের মধ্যে সৌহৃদ্য ছিল। রমাকাপ্ত বৈমাত্রেয় কনিষ্ঠ ভ্রাতা, তাতার সহিত অপর দুইজনের. কোন সৌহৃদ্য বা সহানুভূতি ছিল না । সুতরাং রাঘব রায় রাজা হইলে চাদ রায় ভ্রাতার সঠিত মিশিলেন এবং পৈত্রিক রাজ্যের অংশীদার হইতে পারিলেন ; কিন্তু কয়েক বৎসর পরে ধখন চাদ রায়ের রাজত্বকালে রমাকাপ্ত যশোহরে আসিলেন, তখন চাদ রায় তাহাকে গ্রহণ করিলেন না । এই জন্য তিনি ও র্তাহার বংশধরগণ চিরদিন রাজ্যেপাধিতে বঞ্চিত রছিলেন । রাঘব ও চাদ রায় ছত্ৰধারী রাজ বলিয়া পরিচিত ; চাদ রায়েব বংশয়দিগের কোন রাজ্যাংশ থাকুক বা না থাকুক, তাহাব। এখনও সকলেই এ দেশীয় লোকের নিকট রাজা বলিয়াই সন্মানিত হন। রমাকাস্তের ধারায় সে সন্মান নাই । রাঘব রাষ্ট্র রাজা হইয়া আর শান্তি পান নাই। তিনি রাজ্য পাইলেন বটে, কিন্তু লোকে তাহাকে শ্রদ্ধা করিত না। র্তাহার যশোহয়ঞ্জিং উপাধি মাত্র সার হইল । সকলেই স্পষ্টতঃ বা পরোক্ষে তাহাকে দেশদ্রোহী বলিয়া বিদ্রুপ করিত এবং ঘূণার চক্ষে দেখিত। তিনিও দেখিলেন, যশোহরের যে বলৰীর্য্য বা