পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহর-রাজবংশ 8 રજ উছার দক্ষিণ দিকে একটি শিবমন্দিরের ভগ্নাবশেধ ছিল এবং সে মন্দিরের ইটগুলি কারুকার্যাখচিত ছিল বলিয় পরিচয় পাওয়া যায়। * নদীর কূলে তিন দিকে গড়বেষ্টি ত আর একটি স্থানে একটি গোল পুকুরের পশ্চিম পাড়ে কালীমন্দিরের ভগ্ন গৃহ আছে। এই স্থানটিকে মঠ-বাড়ী বলে । ছোট গোল পুকুরটির সম্পূর্ণ তলদেশে শালকাঠ বিছান ছিল। { ইসলাম খার সময়ের আক্রমণের পূৰ্ব্বেষ্ট, সম্ভবতঃ ১৬০৮ খৃষ্টাব্দে, চাঁদ রায় বাজ ঠন । প্রতাপের ঢাকায় গমন ও তাহার পরিবারবর্গের জলমগ্ন হইয়৷ মরিবার পর সম্ভবতঃ ইনায়ে থার অনুমতিক্রমে, চাদ রায় আসিয়া কিছুদিন ধূমঘাটে বাস কবেন । এই সময়ে তিনি ১৬১০ পৃষ্ঠাদের পূর্বে মাত৷ যশোরেশ্বরী ও গোপালপুরে গোবিন্দদেব বিখছের সেবা-ব্যবস্থাব জন্য অধিকারী:দিগকে পৃথক পৃথক্ দেবোত্তর সম্পত্তির সনন্দ দেন। গোবিন্দদেব সংক্রান্ত সনন্দের নকল আমরা পূৰ্ব্বে দিয়াছি ( ২৫৭-৮ পূঃ ; অপর সনদ এখন আর পাইবার উপায় নাই, কারণ পূৰ্ব্বতন অধিকারিগণ ঈশ্ববপুর অঞ্চল জঙ্গলাকীর্ণ ইষ্টলে একেবাবে দেশত্যাগ করিয়া চলিয়া যান । উহার বহু বৎসর পরে বর্তমান অধিকারীরা এথানে আসিয়া বাস কবেন । র্তাহীদের বিবরণ পরে দিব। গোবিন্দদেব সম্পকিত সনন্দ হইতে জানা যায়, চাদ রায় মাত্র নিজ অধিকারভুক্ত ধূলাপুর চাকলাব মধ্যে ২৮৬) বিঘা জমি দেন। ইহা ইষ্টতেই বুঝা যায়, মোগলদিগের সহিত বন্দোবস্তস্তরে চাদ রায় উক্ত পরগণার অধিকার লাভ করেন। চাদ রায় ধূমঘাটে বাস করিবার সময়, আনুমানিক ১৬২ খৃষ্টাব্দের প্রাক্কালে আকস্মিক প্রাকৃতিক বিপর্যায়ের জন্ত ধূমঘাট জলপ্লাবিত হয় এবং ঐ সময় টুর্গটি বাসেব অধোগ্য হইয় পড়ায় চাদ রায় তথা চইতে চলিয়া যান । অবনমিত এবং জলপ্লাপিত দুর্গচত্বৰ তথন ইষ্টতে “চাদ রায়ের দীঘূ” বা দীঘি নামে আখ্যাত হয়। চাদ রায় এখান ইষ্টতে অাধারমাণকে কচু রায়ের বাটতে চলিয়া যান। কচু রায় অধিক দিন জীবিত ছিলেন ন । এই ভয় স্তপের মধ্যে অাধারমাণিকের ডাক্তার গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয় একটি কষ্টিপাথরের ছোট শিবলিঙ্গ পান, উহ। তঁহাদের বাড়ীতে নিত্য পূজিত হইতেছেন। অtধারমাণিকের পর্শ্বে এখন আর ইছামতী নদী নাই ; উছার প্রাচীন থাত বাওড়ের নদী নামে কথিত এবং ভাই। মাসকাটার খাল নামে বাদুড়িয়ার সন্নিকটে ইছামতীর প্রবারে মিশিয়াছে।