পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8७२ যশোহর-খুলনার ইতিহাস নিকটবর্তী রুদ্রপুরে বাস করিতেন। ইহার দুই পুত্র, নীলকণ্ঠ ও খামমুন্দর। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে রাজারাম পরলোকগত হইলে এ উভয় ভ্ৰাতায় রাজ্য লইয়া কলহ আরম্ভ করেন। তখন আত্মীয় স্বজন এবং কৰ্ম্মচারিগণও দুইদিকে পক্ষভুক্ত হন। অবশেষে এই মীমাংসা হয় যে, নীলকণ্ঠ জ্যেষ্ঠ বলিয়া জমিদারীর নয় আন অংশ এবং কনিষ্ঠ শু্যামসুন্দর সাত আনা অংশ পাইবেন। রাজারামের সময়ে ধুলিয়াপুর, পার-ধূলিয়াপুর, বাজিতপুর ও সরফরাজপুর এই চারি পরগণার জমিদারী ছিল। বিরোধ মিটিবার পর শু্যামমুনার প্রধানতঃ দক্ষিণাংশের জমিদারী পাইয়া, সেই দিকে কোন স্থানে গিয়া বাস করিবার জন্ত যাত্র করেন । আসিবার কালে পথে খাঞ্জের উত্তরে শোলপুর গ্রামে তিনি এক বৎসরকাল তাবুতে বাস করেন এবং পরে ধূলিয়াপুরের অন্তর্গত রামজীবনপুরে আসিয়া বসতি নিৰ্দেশ করেন । এই গ্রাম নুরনগরের সন্নিকটে অবস্থিত। তখন মোগল ফৌজদার নুরউল্যা খা ঐ স্থানে আসিয়া নিজ নামে গ্রাম প্রতিষ্ঠা করিয়৷ কিছুকাল বাস করেন। সে কথা পরবর্তী পরিচ্ছেদে বলিব । কিছুদিন পরে যখন মুর্শিদকুলি খ। বঙ্গের নবাৰ ইষ্টয় সমগ্র বঙ্গদেশকে তেরটি চাকলায় বিভক্ত করিয়৷ সেইগুলি পচিশটি জমিদারী ও তের জায়গীরে বন্দোবস্ত করেন, তখন শু্যামসুন্দর জমিদারের তালিকাভুক্ত না হইলেও, তাহার ক্ষুদ্র জমিদার রীতিমত বন্দোবস্ত করিয়া লইয়াছিলেন। নূতন প্রথানুসারে তিনি মনসবদার নিযুক্ত হইয়৷ কিছু জায়গীর পান। সে সময়ের মনসবদারগণ দেশের সীমান্ত-জমিদারগণের মধ্য হইতে নিৰ্ব্বাচিত হইতেন ; তাহাদিগকে

  • রাজারাম ১-৯৪ সালে বা ১৬৮৮ খৃষ্টাব্দে থোড়গাছির কৃষ্ণদেব বিশারদকে যে ভূমি দ্বান করেন, তাহার সনদের প্রতিলিপি আমরা পূর্বে দিয়াছি । ৮৭ পৃঃ)। ১৬৯৮ খৃষ্ঠাম্বে যন্ধমানে DDBDDDB BBD DDS BBB BBBB BS BBBBD DDD DDD DDD BBBBB S মুরষ্টল্যা মুরনগর ভ্যাগ করিয়া মীর্জানগরে আসিবার পূৰ্ব্বে স্বামহম্বর রামজীবনপুরে যান। সুতরাং আনুমানিক ১৬৯০ অব্দে রাজারামের মৃত্যু হয় ।
  1. Chakla was in existence in Akbar's time, but its development as an administative unit was the work of Murshid Quli Khan". Early Revenue History, Ascoli, p. 25- 拳