পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ybo ধশোহর-খুলনার ইতিহাস সবল স্বশাসকের রাজত্বে দেশ শান্তির মুখ দেখিয়াছে, যুদ্ধের ঘনঘটা অপহৃত হইয়াছে, এবং শান্তির সুফল স্বরূপ শিল্প ও শিক্ষার সমুন্নতি হইয়াছে। প্রজাদের সাধারণ অবস্থা আমরা বড় কমই জানি, কত লক্ষ লোক মরিয়াছে তাহার কোন ংবাদ নাই। নবাগত মুসলমানের মত হিন্দুরাও যুদ্ধ করিত, মরিত, দপ্তরে হিসাব রাথিত, রাজস্ব সংগ্ৰহ করিত, কিন্তু অসংখ্য ইতিহাসে তাহার প্রসঙ্গ নাই। * যে দুই চারিজন মুশাসক রাজতত্ত্ব সুশোভিত করিতেন, তাহাদের রাজত্বকালে দেশের লোকে হাপ ছাড়িয়া বাচিত ; অনেক মনের ক্ষত আরোগ্যলাভ করিত। তাহদের সদাশয়তায় সময় সময় অর্থবৃষ্টি হইত ; তাহদের জাকজমকপ্রিয়তার জন্য অনেক বিপুল সৌধ শিরোত্তলন করিত। বাস্তবিকই বঙ্গদেশে পাঠান শাসনকালের যে সকল প্রাচীন মসজিদ বা অট্টালিকা এখনও বিদ্যমান আছে, শিল্প হিসাবে উঠা খুব উচ্চাঙ্গের স্থাপত্য-নিদর্শন ন হইলেও, সে সকল যে এক গৌরবের যুগের জীবন্ত সাক্ষী, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই। হুসেন শাহ সেইরূপ একজন স্বশাসক, সে কথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। হুসেনের মৃত্যুর পর হইতে যে বিপ্লব আরব্ধ ইয়াছিল, সের শাহের অতি সংক্ষিপ্ত রাজত্বে তাঙ্গ নিবৃত্ত হয় নাই। কারণ সের শাহ যতদিন বঙ্গে ছিলেন, ততদিন তিনি অত্যাচারী যোদ্ধা এবং তিনি দিল্লী গেলে, তাঙ্গর মুশাসনের নিদর্শন বঙ্গে পৌছিবার পূৰ্ব্বে র্তাগর মৃত্যু সংবাদ প্রচারিত হইয়াছিল । ১৫২৬ খৃষ্টাব্দে বাবরের রাজারম্ভ হইতে ১৫৫৬ অব্দে আকবরের রাজ্যলাভ পর্যন্ত বঙ্গে কোন সুশাসন প্রবর্হিত হয় নাই। সুলেমানব কঠোর শাসনের মধ্যে যে শান্তিটুকু ছিল, তাহার । সেনাপতি কালাপাহাড়ের অমানুষিক অত্যাচারে তাহার ফল শুভজনক হয় নাই । তৎপুত্র দায়দ মোগলের নিকট পরাজয়ের পর যখন সেনাপতি মুনেমের সহিত সন্ধিস্থত্রে উড়িষ্যার স্বামিত্ব লাভ করিয়াছিলেন, তখন তিনিও উড়িষ্যাবাসীর হৃদয়ের উপর কোন অধিকার বিস্তার করিতে পারেন নাই। তজ্জন্তই তাছাকে অচিরে সে রাজা ত্যাগ করিয়া ইতোম্রষ্টস্ততে নষ্ট অবস্থার মৃত্যুর অনুসরণ করিতে চষ্টয়াছিল। মোট কথা হুসেনের মৃত্যুর পর হইতে ষোড়শ শতাব্দীর শেষ পর্যান্থ বঙ্গদেশে কোন সুশাসন ছিল না । 晚 1.А. Bourdillon, Bengal the Maiomedan, p. ------ t V. A. Smith, Akbar, p. i47.