পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহরের ফৌজদারগণ । 8 উড়িষ্যার পাঠান সর্দার রহিম খাকে নিজ দলভূক্ত করিয়া মোগলদিগকে দেশ হইতে উৎখাত করিবার মানসে বিষম উৎপাত আরম্ভ করেন। কৃষ্ণরাম নিহত ও তাহার পরিবারবর্গ শক্রহস্তে বন্দী হন। কেবল মাত্র জ্যেষ্ঠ পুত্র জগৎরাম স্ত্রীবেশে পলায়ন করিয়া কৃষ্ণনগরের রাজা রামকৃষ্ণের শরণাপন্ন হন এবং পরে র্তাহার সাহায্যে ঢাকায় গিয়া নবাব ইব্রাহিম খাকে সংবাদ দেন। গুনিবামাত্র নবাব ফৌজদার নুবউল্যা থাকে অনতিবিলম্বে সসৈন্তে গিয়া এই বিদ্রোহ দমন করিবার জন্ত কঠোর আদেশ দেন। তখন নূরউল্যা বিয়ম সঙ্কটে পড়িলেন, কোথায় বা সৈন্ত আর কোথায় বা সেনাপতি ও নৌ-বাহিনী ; নিজে ছিলেন মুখ-বিলাসে রত, আর “র্তাহার সৈন্তের যুদ্ধ-শিক্ষণ ভুলিয়া গিয়াছিল।” কুম্ভকর্ণের নিদ্রাভঙ্গ হইল বটে, কিন্তু সে শুধু পতনেরই নিমিত্ত। কোন প্রকারে কিছু সৈন্ত জুটাইয়া তিনি স্বয়ং তাড়াতাড়ি রওনা হইলেন এবং হুগলীতে গির যখন শুনিলেন যে বিদ্রোহীদল সেই পথে আসিতেছে, তখন ফাপরে পড়িয়া আত্মরক্ষার জন্ত সসৈন্তে হুগলী দুর্গে আশ্রয় লইলেন এবং চুচুড়ার ওলন্দাজদিগের নিকট সাহায্য ভিক্ষা করিতে লাগিলেন । কিন্তু অচিরে বিদ্রোহীরা আসিয়া হুগলী অবরোধ কবিয়া বসিল, তখন ফৌজদার মহাশয় প্রাণভয়ে ব্যাকুল হইয়া কোন প্রকারে নাক কান কাপড়ে জড়াইয়া রাত্রিযোগে প্রাণ লইয়া পলায়ন করিয়া যশোহরে আসিলেন, পরদিন প্রাতে হুগলী দুর্গ তাহার যথাসৰ্ব্বস্বসঙ্গ শক্রহস্তে পড়িল । * তাহার পর পাপিষ্ঠ সভা সিংহ বৰ্দ্ধমান রাজকুমারীর সতীত্ব নাশের চেষ্টা করিতে গিয়া তার গুপ্ত ছুরিকার আঘাতে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। তখন রহিম খাঁ নিজে “শাহ’ উপাধি গ্রহণ করিয়া স্বীয় ভ্রাত চিন্মৎ ধার সঙ্গে নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ অঞ্চলে বিদ্রোহ-বহ্নি জ্বালাষ্টয়া দিল । দাক্ষিণাত্যে বাদশাহ আওরঙ্গজেব এক্ট সংবাদ পাইয়া ক্রোধে অধীর হইলেন এবং অবিলম্বে নবাব ইব্রাহিমের পুত্র জবরদস্ত থাকে বদ্ধমান অঞ্চলে ফৌজদার নিযুক্ত করিয়া বিদ্রোহ দমনের জন্য কঠোর আদেশ দিলেন। কাপুরুষতার জন্য তিনি নূরউল্যার প্রতি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়াছিলেন কিন্তু তাঙ্গকে তৎক্ষণাৎ পদচু্যত ও বিতাড়িত করা

  • “With a nose and two ears, clad in a rag. he ( Nur-ullah ) came out of the fort, and the fort of Hugly together with all his effects and property fell into the enemy's hands.” Reaz, p. 232.

stkr.