পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নলডাঙ্গ রাজবংশ 8Wod “চাকুলা” নামক স্থানে কাছারীবাট নিৰ্ম্মিত হয়, উহা এক্ষণে নড়াইলের বাবুদিগের অধিকৃত । চণ্ডীচরণ ১৬৫৬ অব্দে রাজমহলে গিয়া স্ববাদার শাহ সুজার সহিত নানাবিধ উপহার দিয়া দেখা করেন এবং তঁহারই নিকট হইতে "রাজা” উপাধি ও খেলাত পান । তিনিই এই বংশের প্রথম রাজা । চণ্ডীচরণের পুল্ল ইন্দ্রনারায়ণের সময়ে সন্ন্যাসী ব্ৰহ্মাগুগিরির আদেশে কাশী হইতে ভাস্কর আনাইয়া কালীমূৰ্ত্তি প্রস্তুত কবা হয় এবং একটি সুন্দর পঞ্চরত্ন মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া সে মুৰ্ত্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়। মন্দিরে কোন লিপি নাই। উহার বাহিরের মাপ ৩৯—৩ × ৩৯-৩%। দেবীর নাম দেওয়া হইয়াছিল "ইঞ্জেশ্বরী,” এখন তাহাকে “সিদ্ধেশ্বরী” বলা হয়। ইন্দ্রনারায়ণের পুত্র স্বরনারায়ণের সময়ে দেবী পূজার নিয়মাবলী বিধিবদ্ধ হয় এবং তাহার ব্যয় নিৰ্ব্বাহের জন্ত যথেষ্ট বৃত্তির বন্দোবস্ত হয়। সেই নিয়মে এখনও নিত্যপূজা হয়, নিতা ছাগ বলি ও শিব বলি দিতে হয়, মায়ের প্রসাদে অভ্যাগতের সেবাও উঠিয়া যায় নাই । কিন্তু কর্তৃপক্ষের যে প্রাণের ভক্তি ও যত্ন লইয়৷ কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ হওয়া উচিত, তাহ যেন এখন নাই। গতানুগতিকের মত কোন প্রকারে নিয়ম পালন করা হয় মাত্র । মন্দিরটিও জঙ্গলাবৃত ও অপরিস্কৃত হইয় পড়িয়াছে। এই মন্দিরে এক্ষণে যে একটি সুন্দর দুই ফুট উচ্চ প্রস্তর নিৰ্ম্মিত গণেশ মূৰ্ত্তি আছে, তাঙ্গার জন্ত পূৰ্ব্বে পৃথক্ মন্দির ছিল। নিত্যপূজিত এমন কোন গণেশমূৰ্ত্তি এদেশে আর নাই । * ১৬৮৫ অব্দে সুরনারায়ণের মৃত্যু হয়, তাহার ছয়টি পুত্র, তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠ উদয় নারায়ণ রাজ্যাধিকারী হন । তিনি বিলাস-বিভ্রাটে অঙ্গ ঢালিয়া দিয়া বিষয়ের তত্ত্বাবধান করিতেন না, তজ্জন্ত নবাব সরকারে বহু রাজস্ব বাকী পড়ে। তখন কনিষ্ঠ রামদেব রায়ের প্ররোচনায় নবাবের সেনাপতি সম্সের র্থ তাহার দমনার্থ আসিয়া তাহাকে হত্যা করেন এবং রামদেবকে রাজতক্তে বসাইয়া যান ( ১৬৯৮)। রামদেব বড় দাতা ছিলেন, তিনি উপযুক্ত ব্রাহ্মণ বৈষ্ণব প্রভৃতিকে, যথেষ্ট নিষ্কর ভূমি দান করিয়া যান ; এমন কি, শূদ্র বা মুসলমান ফকিরগপও র্তাহার দানে বঞ্চিত হন নাই। রামদেবের সময়েই “রামেশ্বরী’ মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়, উহা এখনও আছে। অতি প্রাচীনকালে এদেশে গণেশের পুঙ্গ। পদ্ধতি ছিল, এখন তাছা নাই । &o