পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हैंiछ्ड़-ब्रांछदश्यं 8፭.. পুথিও তেমনি পাঠ করা হইয়া থাকে। এইজন্ত রাজা শ্ৰীকণ্ঠ রায়ের সময়ে কবিকঙ্কণ চণ্ডীর যে পুথি লিখিত হইয়াছিল, উহা এখনও দশমহাবিদ্যার বাড়ীতে আছে । পুথিখানি ১১৮৪ সালের ১৮ই বৈশাখ লিখিত হয়। আর এক খানি পুথি সেখানে আছে, উহার নাম শীতল মঙ্গল। উং পরগণে ইমাদপুরের অন্তর্গত আমূদ্রাবাদ নিবাসী রামেশ্বর ঘোষ বিশ্বাস কর্তৃক কবিতাকারে রচিত। উহার শেষ ভাগে আছে –“বাণ বস্থ রস ইন্দুশক পরিমিত হেনই সময় হুৈল শীতলার গীত।” অর্থাৎ ১৬৮৫ শক বা ১৭৬৩ খৃষ্টাব্দে এই পুস্তক রচিত হয়। এ পুথিখানি এখনও মুদ্রিত হয় নাই । অভয়ালগল্প—এই স্থানটি অভয়ানামী বিধবা রাজকন্তার সম্পত্তিভুক্ত করিয়া দেওয়া হয় বলিয়া ইহার নাম অভয়ানগর । কথিত আছে, এখানকার একাদশটি শিবলিঙ্গের প্রত্যেকের নামে ১২০ •/ বিঘা নিষ্কর দেওয়া হয় । প্রতিদিন দেবসেবায় যাহা ভোজ্য উৎকৃষ্ট হইত, উহা পূজান্তে সিধা ভাগ করিয়া গ্রামস্থ প্রত্যেক ব্রাহ্মণ, বাটীতে রীতিমত প্রেরিত হষ্টত এবং তদ্বার প্রায় ৩• ঘর ব্রাহ্মণ পরিবারের সংসার নির্বাহ হইত। এখনও অভয়ানগরে সে সকল ব্রাহ্মণ বাস করিতেছেন, কিন্তু নৈবেদ্য আর পান না । অভয়ানগরের রাজবাটী ভাঙ্গিয়া পড়িয়া বিলুপ্ত প্রায় হইয়াছে। কিন্তু মন্দির গুলি এখনও খাড়া আছে। ঐ প্রাঙ্গণে উত্তরের পোতার মন্দিরটি সৰ্ব্বাপেক্ষা বড়, তন্মধ্যে যে প্রকাও শিবলিঙ্গ ছিল, তাহার ভগ্নাংশ গুলি এখনও আছে। পূৰ্ব্ব পশ্চিমে প্রত্যেকদিকে সারি সারি চারিটি ও সদর তোরণের দুইপাশ্বে দুইটি—এই মোট একাদশটি মন্দির। অনেকগুলির মধ্যে শিবলিঙ্গ এখনও বর্তমান ; এবং ২৩টির নিত্য পূজা হওয়ার কথা, ব্যবস্থাও আছে, কিন্তু কাৰ্য্যতঃ নিত্যপূজা হয় না ; বৃত্তির টাকা রাজসরকারে খরচ লেখা পড়ে এবং এখানকার বৃত্তিভূকৃগণ ফাকি দিয়া খায়। রাজসরকার হইতে এদিকে দৃষ্টি নাই। যাহা হউক মন্দিরগুলি বেশ দৃঢ় এবং বড় মন্দিরটি বড় স্বন্দর ; এমন কারুকার্য্য খচিত সুন্দর মন্দির নিকটবর্তী স্থানে আর নাই । মন্দিরটির বাহিরের মাপ ২৪—৪^x ২২-৩ ; ভিত্তি ৩-৪% ; সন্মুখে সাধারণ পদ্ধতিমত তিনটি খিলানের পশ্চাতে একটি ৪-৭ বিস্তৃত খোলা বাবাদ এবং ভিতরে গর্ভমন্দির, দুই পার্শ্বে ৩- ১০% বিস্তৃত আবৃত বারান্দা