পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতারামের রাজত্ব ©Ꮤ& “প্রজানামেব ভূতাৰ্থং স তাভো বলিমগ্রহীং । সহস্ৰগুণমুৎস্থ মাদত্তে হি রসং রবি: " (রঘুবংশ ১-১৮) সহস্ৰগুণ বর্ষপ করিবার জন্তই স্বৰ্য্যদেব ভূমি হইতে রস গ্রহণ করেন, তিনিও প্রজার মঙ্গলের নিমিত্ত তাহদের নিকট হইতে কর গ্রহণ করিতেন। প্রজাদের নিকট হইতে যাহ লওয়া যায়, তন্মধ্যে যে রাজা যত বেশী পরিমাণে তাহ প্রজাদিগকে কোন না কোন প্রকারে প্রত্যপণ করিতে পারেন, তিনি সেই পরিমাণে বড় রাজা। রাজ্যের পরিমাণ দ্বারা রাজত্বের কৃতিত্ব স্বচিত হয় না, প্রজাপালন বিষয়ক নীতির প্রকর্ষই রাজার সিংহাসনকে উচ্চ করিয়া দেয়। প্রজার মুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্ত সীতারামেব যে সুদৃষ্টি ছিল, তাহাই তাহাকে সৰ্ব্বজনপ্রিয় করিয়াছিল ; সেই জন্তই দলে দলে লোক আসিয়া তাহার শাসনতলে বাস করিতে ভাল বাসিত তাহার স্বল্পস্থায়ী রাজত্বের কোন প্রামাণিক লিখিত বিবরণী না থাকিলেও যতদিন তাহার দেশ-হিতৈষণার চিহ্ন থাকিবে, ততদিন তাহার স্মৃতি কেহ মুছিয়া ফেলিতে পারিবে না। অশোক বা হর্ষের সঙ্গে সীতারামের তুলনা করা চলে না, কারণ স্বাধীনতা ব্যতীত কেহ রাজার পর্য্যায়েই পড়ে না। আর সীতারামের মত ক্ষুদ্র রাজা মৌর্য্য-সম্রাটের বিরাট জনহিতৈষণার গৌরব লাভ কপিতে পারেন না। তবে ভাগ্যগুণে যদি তাহার স্বাতন্ত্র্যলাভের চেষ্টা ব্যর্থ ন হইত, তাহ হইলে ক্ষুদ্রাধিকারের মধ্যে তিনিও অশোক-তর্যের মত প্রজার শোকদুঃখ নিবারণ করিয়া, তাহাদের হর্ষমুখ বিধান করিতে সমর্থ হইতেন । নীতিই মানুষকে বড় করিয়া দেখায়, কাৰ্য্যক্ষেত্র উহার সফলতার জন্ত দায়ী। প্রজাদিগের ঐহিক পারত্রিক উভয়দিকে তঁাচার দৃষ্টি ছিল। সেই কথাই এখন বলিব। প্রজাদের স্বচ্ছন্দ জীবিকার জন্ত তাহাদের খাদ্য পানীয় সুলভ করিবার ব্যবস্থা হষ্টয়াছিল। সায়েস্ত থার রাজত্বে টাকায় আটমণ চাউল বিক্রয় হইত। উহা কেবল রাজধানী ঢাকার কথা নহে ; আবার তাহার কৃষক প্রজা যেমন বেশী, কৃষিক্ষেত্রও প্রচুর ছিল। বিশেষতঃ তিনি আবাদী সনদের বলে অনেক নুতন স্থল শাসন তলে আনিয়া প্রজাপত্তন করিয়াছিলেন ; তাই উৎপন্ন শস্তের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য শস্তের মূল্য হ্রাস হয়। এক্ষণে সে অবস্থা কল্পনা করাও দুষ্কর হইয়াছে। রাজধানী মহম্মদপুরেমনোরম রাজ্যের সংস্থাপন করিয়া উহাকে একটি প্রধান