পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহর-খুলনার ইতিহাস ولايا) বাণিজ্যের কেন্দ্র করা হইয়াছিল ; তজ্জন্ত সকল স্থানের সব রকম জিনিস এখানে আসিয়া বিক্রয় হইত। লোকে রাজধানীতে আসিলে সৰ্ব্ববিধ প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় পদার্থ সুলভে সহজে কিনিতে পারিয়া নানাবিধ বিলাস-মুখের কল্পনা করিত ৷ . এদেশ পূৰ্ব্বে সম্পূর্ণ নদী-মাতৃক ছিল ; নদীর কূলে ভিন্ন বসতি ছিল না। তখন লোকের জলকষ্ট ছিল না। কালে বহুস্থানে নদীর ভূমি-গঠন কাৰ্য সম্পন্ন হওয়ায় এবং কৃত্রিম খাল নালা দ্বারা স্বাভাবিক গতির ব্যতিক্রম হইলে, অনেক স্থলে নদী মরিয়া মজিয়া ষাইতেছিল, পানীয় জ:লর জন্ত সে সব স্থানের লোককে পুকুর বা দীঘি খনন করিতে হইত ; এবং সৰ্ব্বত্র সম্পন্ন লোক না থাকায়, জলকষ্ট উপস্থিত হইত। সীতারাম স্বীয় রাজ্যমধ্যে সকল স্থানের জলকষ্ট নিবারণ করিয়া ছিলেন। তিনি একদা এক প্রসিদ্ধ জ্যোতিষী পণ্ডিতের নিকট শুনিয়াছিলেন যে, পূৰ্ব্বজন্মে জল-দান-পুণ্য-ফলে তিনি এ জন্মে রাজা হইতে পারিয়াছেন । জলদান প্রবৃত্তি র্তাহার পূর্বপুরুষের কিরূপ ছিল, তাহা আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি (৫১৬ পৃঃ)। এই সব নানাকারণে, তাহার রাজ্যমধ্যে যাহাতে “জল-চুর্ভিক্ষ” না থাকে, তাহার ব্যবস্থার জন্য তিনি বিশেষ ব্যাকুল হইয়াছিলেন। শুধু হিন্দু রাজা বলিয়াই যে কথা, তাহী নহে ; এইরূপ জলদান-প্রবৃত্তি কিরূপ ভাবে পাঠান দলপতি খাজাহান আলির ছিল, তাহ আমরা প্রথম খণ্ডে সবিস্তর বর্ণনা করিয়াছি। খাজাহানের একদল বেলদার বা খনকসৈন্ত ছিল; তিনি যে পথ দিয়া সমারোহে অগ্রসর হইতেন, তাহার দুইপাশ্বে অচিরে প্রকাও প্রকাও জলাশয় খনিত হইয়া তত্তংস্থানের জলকষ্ট নিবারণ করিয়া দিত। এখনও যশোহর-খুলনায় অনেক স্থানে বড় বড় থাঞ্জালি দীঘি স্থানীয় লোকের জীবনোপায় হইয়া রহিয়াছে। সীতারামেরও এইরূপ এক দল বেলদার সৈন্ত ছিল, গুনা যায়, উহাদের সংখ্যা ২২০০ এবং উহাদের নায়ক ছিলেন, পলাশবাড়িয়ার বস্তুবংশের পূর্ব-পুরুষ, কায়স্থবীর মদন মোহন বসু। এই সৈন্যদল আৰখ্যক হইলে যুদ্ধ করিত, আর সময় পাইলে পুষ্করিণী খনন কবিত। সৰ্ব্বত্রই জলাশয় প্রতিষ্ঠা দ্বারা সীতারামের শুভাগমন ও শুভদৃষ্টি বিজ্ঞাপিত করিত। আর কিছুতে না হউক, তিনি জলদান-পুণ্যে অমর হইয়া রহিয়াছেন ।* S DDHHD BDDD DDS DDDDB BDDDB BB BBSBBBBB DDD DDS DD ছিলেন, সীতারামের সম্বন্ধেও ঠিক তাহ খাটে –