পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতারামের রাজত্ব &\vo প্রবাদ আছে, তিনি প্রতিদন নুতন পুষ্করিণীর জলে স্নান করিতেন এবং প্রত্যহ নানাস্থান হইতে এই সব খনিত জলাশয়ের জল রাজধানীতে আনীত হইত উহাব প্রকৃত কারণ পুষ্করিণী খনন কাৰ্য্যের উৎসাহদান ভিন্ন কিছু নহে। কিন্তু সাধারণ লোকে উহার মধ্যে র্তাহার বিলাসিতার স্বপ্ন দেখিত। নূতন পুকুরের জলে স্বাস্থ্য বা বিলাসিত বৃদ্ধি পায়, এমন কথা আমরা শুনি নাই ; বরং উহার বিপরীত ফলই আমাদের অভিজ্ঞতা। সীতারাম যে সকল ক্ষুদ্র বৃহৎ জলাশয় প্রতিষ্ঠা করিয়া গিয়াছেন, এখনও তাহার অনেকগুলি বর্তমান থাকিয়৷ তদঞ্চলের জলকষ্ট নিবারণ করিতেছে । রামসাগর, কৃষ্ণসাগর প্রভৃতির কথা বলিয়াছি ; তড়িয় অনেক জলাশয় এখনও নানাস্থানে আছে। মহম্মদপুর হইতে ৫৬ ক্রোশ দূরে বলেশ্বরপুর ও লস্করপুরে দুইটি প্রকাও দীর্ঘকা আছে। রাজধানীর উত্তর পশ্চিমকোণে দেড় ক্রোশ দূরে স্তামগঞ্জে সীতারামের জ্যেষ্ঠপুত্র খামসুন্দর রায়ের প্রাসাদ ছিল,তথায় এবং অদূরবর্তী দিগনগরে কতকগুলি উৎকৃষ্ট সরোবর আছে। স্বৰ্য্যকুও গ্রামের “দাসের পুকুর” এখনও তাহার মহিমাকীৰ্ত্তন করিতেছে। বাশ গ্রাম বগুড়ায়ও দাধিক এবং গড় আছে। এতদ্ভিন্ন কালুটিয়, ঘুল্লিয়া, যশপুর গঙ্গারামপুর, মিঠাপুর ও সিঙ্গিয় (হাড়িগড়) গ্রামে, নড়াইলের পূৰ্ব্বদক্ষিণে সরখলডাঙ্গায় ও হরিহর নগরে সীতারামের জলাশয় আছে। জ্ঞানচর্চা ও শিক্ষা-সৌকর্য্যের জন্তও মহম্মদপুর খ্যাত ইয়াছিল। সীতারামের রাজসভায় বহু পণ্ডিতের সমাগম হইত ; তিনি বহু অধ্যাপককে বৃত্তিদানে পোষণ করিতেন। তাহার গুরু-পুরোহিত উভয় কুলই পাণ্ডিত্যের জন্ত সন্মানিত । যুল্লিয়ার গোস্বামিগণ তাহার গুরুবংশীয় এবং গোকুল নগরের বংশজ চট্টোপাধ্যায়গণ র্তাহার পুরোহিতের ধারা। শেষোক্ত বংশে বহু পণ্ডিতের আবির্ভাব হইয়াছিল । তাহার সময় হইতে বাগ জানি, ধুপড়িয়া, গঙ্গারামপুর ও “These (tanks) are the manuments of real kings, who were the fathers of their peoplc ; testators to a posterity which they embraced as their own. These are the grand sepulchres built by ambition, but by the ambition of an insatiable benevolence which not contented eigning in the dispensation of happiness during the contracted tenure of human life, had strained to extend the dominion of their bounty beyond the limits of nature and to perpetuate themselves through generations of generations as the guardians, the protectors, the nourishers of mankind.”