পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোগল-সংঘর্ষ ava করিয়াছিলেন। মীরসাহেব সীতারামকে ধৃত করিবার জন্ত সৈন্ত পাঠাইয়াছেন, তিনি শৃগাল-বৃত্তি অবলম্বন করিয়া জঙ্গল ভূমির আশ্রয় লইতেন, তার তরবার যোগে যুদ্ধ করিয়া ফৌজদারী সৈন্তগণকে হয়রান করিতেন। প্রকাশু স্থানে সন্মুখযুদ্ধ দিতেন না,ফৌজদারী সৈন্তবল বেশী দেখিলে, গভীর বনভূমি ও নদীমধ্যে আশ্রয় লইতেন । সৈন্তগণ উহা অতিক্রম করিতে অসমর্থ হইয়া ফিরিয়া আসিত । তিনি পরক্ষণেই বাহির হইয়া লুণ্ঠনে ক্ষিপ্ৰহস্ততা প্রদর্শন করিতেন। কেহই তাহাকে আয়ত্ত করিতে সমর্থ হয় নাই, তিনি কখনও কাহারও হস্তে পড়িতেন না।” * অজ্ঞাতনামা লেখক যাহাই লিখুন ধাতারাম সময় বুঝিয়া উপযুক্ত যুদ্ধনীতি অবলম্বন করিয়াছিলেন, উহাকে শৃগাল-বৃত্তি বলা উচিত নহে। সীতারামেব বাল্যকালে মহারাষ্ট্রদেশে শিবাজী ঐ একই নীতি অবলম্বন করিয়াছিলেন। ইতিহাস পাঠক জানেন বুয়র যুদ্ধের সময় দুৰ্দ্ধমনীয় ডিওয়েটের এই কঠোর নীতি প্রবল পরাক্রান্ত শক্রর কি বিষম দুৰ্গতিই করিয়াছিল। বাঙ্গলার রাজনৈতিক গগন তখন কুয়াসাচ্ছন্ন ; দিল্লীর উত্তরাধিকারঘটিত বিরোধের ফলে কে বঙ্গেশ্বর হইবেন এবং তিনি কি ভাবে আবু তোরাপকে সাহায্য করিবেন, সবিশেষ না জানিয়া ফৌজদারের সঙ্গে প্রকাগু যুদ্ধ করা সাঁতারামের নিকট সঙ্গত বলিয়া মনে হয় নাই। এই জন্য তিনি অব্যবস্থিত রণ-নীতি অবলম্বন করিয়া সময় কৰ্ত্তন করিতে ছিলেন মাত্র। ফৌজদারকে রাজস্ব দেওয়া হইবে নী ; কিন্তু সে কথা তখনও তিনি মুর্শিদাবাদে রটিতে দেন নাই । সম্ভবতঃ এখন পৰ্য্যন্ত তাহার উকিল মুনিরাম যথাভাবে তাহার পক্ষসমর্থন করিতেছিলেন। মীর আবু তোরাপ সীতারামকে দমন করিবার ভার নিজ সেনাপতি, আফগানবীর পীর খার উপর ন্তস্ত করিলেন। তারিখ-বাঙ্গালায় দেখি তাহার অধীন দুই শত মাত্র অশ্বারোহী ছিল ; হয়ত সে গণনা ঠিক নহে। সীতারামের সৈন্তবল যথেষ্ট বেশী ছিল, দুই শত সেনা লইয়। তাহাকে যে পরাস্ত করা যায় না, তাই আবণ্ড ফৌজদার বুঝিতেন। ফৌজদারের সৈন্ত যাহাতে মধুমতী পার হইতে না পারে, তাহাই সীতারামের উদ্বেগু ছিল : পারঘাটায় তিনি কামান পাতিয়াছিলেন, তাহা বঙ্কিমচন্দ্রও বলিয়া গিয়াছেন। সীতারামের অগ্রগামী - - - - - - - বাঙ্গালার ইতিহাস (নবাৰী আমল ), ৭৮.৯পূ: ፃፀ