পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬১২ যশোহর-খুলনার ইতিহাস দিয়া অর্থ সঞ্চয় করিতে লাগিল। ইহাদের মধ্যে নড়াইল জমিদারীর প্রতিষ্ঠাতা কালীশঙ্কর রায় সৰ্ব্ব প্রধান ; তিনি বন্ধু ও অমাতারূপে রাজসরকারে প্রবেশ করিয়া অবশেষে শনির মত সে রাজ্যধ্বংসের কারণ হইয়াছিলেন। • নাটোরের সকল জমিদারীর কথা এখানে আমাদের আলোচ্য নহে। আমরা শুধু ভূষণার কথাই বলিব। গল্প আছে, একটি গানের জন্য মহারাজ রামকৃষ্ণ কাদিহাটি পরগণা কালীশঙ্করের নিকট বিক্রয় করেন, এবং ভূষণার অবশিষ্ট অংশ তাহাকে ইজারা দেন (১৭৯৩); কিন্তু কালীশঙ্কর ভূষণার আয়বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রজাপীড়ন করিতে আরম্ভ করিলে, দুইবৎসর পরে, ১৭৯৫অন্ধে মহারাজ ভূষণ জমিদারী নিজ নাবালক জ্যেষ্ঠপুত্র বিশ্বনাথকে রীতিমত হেবানামা ( দানপত্র ) লিখিয়া দিয়া দান করেন এবং ঐ বৎসরই সাধককুলগৌরব রামকৃষ্ণ “বালির শয্যায় কালীর নাম" করিতে করিতে গঙ্গাতীরে দেহত্যাগ করেন। তখন জ্যেষ্ঠ পুত্র বিশ্বনাথ নাবালক বলিয়া সমস্ত সম্পত্তি কোর্ট-অব-ওয়ার্ডসের হন্তে ন্তস্ত হয়। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে (১৭৮৬) যশোহর পৃথক্ জেলা হইয়াছিল বটে, তখন চালা ভূষণ উহার সামিল ছিল না ; ১৭৯৩ অব্দে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় ভুবণী যশোহরের অন্তভুক্ত হয়। আরনেষ্ট সাহেব ( Mr. Earnest ) যশোহর হইতে ভূষণার কমিশনার নিযুক্ত হইয়া, উহার রাজস্বাধি নিদ্ধারণ ও বন্দোবস্তের ভারপ্রাপ্ত হন । রাজস্ব বাকী পড়িলেও কোট-অবওয়ার্ডসের হাতে যাওয়ায় জমিদার নিলাম হইতে রক্ষা পায়। কালীশঙ্করকে সময় দিয়াও তাহার নিকট হইতে ইজারার প্রাপ্য আদায় হয় নাই। রাজা বিশ্বনাথ যখন বয়ঃপ্রাপ্ত ইষ্টলেন, তখন তিনি লোকসানের সম্পত্তি বলিয়ু ভূষণ। জমিদারী গ্রহণ করিলেন না। সুতরাং উহা যেভাবে ১৭৯৯ অন্ধে ধশোহর কালেক্টার হইতে খণ্ডে খণ্ডে নীলাম হইয়া গেল, তাহ দেখাইতেছি : - • “His officers, Amla, and even his menial servants robbed him on every side, and accumulated wealth for themselves. Amoug them Kali Sanker Rai, the ancester of the Narail family, was the principal. He was regarded a friend philosopher and guide. but he was unfortunately neither a faithful friend, a good philosopher, nor an infallible guide. He was on the cantrary a principle of evil introduced into the Nator Raj for its destruction. The Rajas of Rajshahi (Kishori chandra Mitra) Calcutta Review, Vol Lvi (1873) p. 15.