পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতারামের পরিণাম \లి পরগণা রাজস্ব নীলামের তারিখ খরিদার হাবেলী (ফরিদপুর)—৩৬,৬১৩\ ১৫, ২, ১৭৯৯ রামনাথ রায় । মকিমপুর— २९,७8१९ ২৫, ২, ১৭৯৯ હૈો নসিবশাহী— ১৬,৯৩৭\ ॐ ভৈরব নাথ রায় স+তৈর – ৩৯,৯৬৮N ২৮, ২, ১৭৯৯ শিবপ্রসাদ রায় নলদী – ৬৬,৭৬০২ ২৩, ৩, ১৭৯৯ ভৈরব নাথ রায় উল্লিখিত খরিদ্ধারগণ প্রায় সকলই বেনামদার, উহাদের নামে মাত্র অন্ত ব্যক্তির। এসব সম্পত্তি ক্রয় করেন। ইহার মধ্যে হাবেল ফতেহাবাদ এবং নসিবশাহী পরগণা এক্ষণে সম্পূর্ণভাবে ফরিদপুরের মধ্যে পড়িয়াছে ; সুতরাং তৎসম্বন্ধে আমাদের কিছু বলিবার প্রয়োজন নাই। অবশিষ্ট তিনটির মধ্যে মকিমপুর:পরগণা কলিকাতা জানবাজারের জমিদার বংশের আদিপুরুষ প্রতিরাম দাস খরিদ করিয়া লন ; তাহারই পুত্রবধু স্বনামধন্তা রাণী রাসমণি স-তৈর ণবগণ রাণাঘাটের পালচৌধুরী বংশের প্রতিষ্ঠাত কৃষ্ণচন্দ্র পালের হস্তে যায়। অত্যধিক দেনার জন্ত তিনি উহা রাখিতে না পারিয়া বিক্রয় করেন। তদবধি অৰ্দ্ধেক শ্রীরামপুরের গোসাই বাবুর এবং অৰ্দ্ধেক ফরিদপুরের সাহাবাবুর খরিদ কবিয়া লন । গোসাই বাবুদিগের কাছারী এখনও মহম্মদপুরে আছে। নলুদী পরগণা সীতারামের মৃত্যুর পর কিছুদিন পৰ্য্যন্ত গোলমালের অবস্থায় ছিল ; সাতারামের পুত্ৰগণ উহার কতক দখল করিতেন, নাটোররাজগণ যে কারণেই হউক, জোর করিয়া উহাদিগকে বেদখল করিতেন না। এমন কি, বাণী ভবানীর সময়ে এই পরগণ সীতারামের পৌত্র প্রেম নারায়ণের সঙ্গে বন্দোবস্ত হইবার কথা হইয়াছিল, প্রেম নারায়ণ এজন্ত কয়েকবার নাটোর রাজধানীতে যাতায়াত করেন। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে কোন ফল হয় না। তবে সীতারামের পুত্র পৌত্ৰগণের আমলে এই পরগণার কতক উপস্বত্ব হইতে তাহাদের জীবিকা চলিত। রামকৃষ্ণের সময়ে যখন চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে নলী পরগণা নাটারের জমিদারী ভুক্ত হইয়া যায়, তখন রাণীভবানী কৃপাবশে কিছু ভূসম্পত্তি পৃথক করিয়া প্রেম নারায়ণের পুত্রকে দেন। সীতারামের পুত্র