পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রায়েরকাটির রাজবংশ Wood তীর্থদর্শন ও ৱিগ্ৰহ-স্থাপনদ্ধারা বহু অর্থব্যয় করিয়া গিয়াছেন । ইহার মধ্যে লক্ষ্মী মারায়ণের কন্য। ত্রিপুর ও অন্নপূর্ণ এবং মহেন্দ্র নারায়ণের কন্স হরমুন্দরীর স্থারিনী কীৰ্ত্তি আছে। ত্রিপুর ছন্দরীর পঞ্চরত্ন মন্দির, অন্নপূর্ণার উত্তর মঠ ও হর সুন্দরীর নবরত্ন মন্দির এখনও সাক্ষিস্বরূপ দাড়াষ্টর প্রতিষ্ঠাকালীন স্বাগযজ্ঞের কথা স্মরণ পথে রিেখয়াছে । রায়েরকাটি রাজবংশের খ্যাতি আছে কিন্তু পূৰ্ব্ববৎ সম্পত্তি গৌরব আর নাই । কালবশে সকলেই প্রায় নিঃস্ব হইয়া পড়িয়াছেন। একমাত্র বনগ্রামের রাজবংশের অবস্থা ভাল। স্বৰ্গীয় রোহিণী বাবু লিথিয়া গিয়াছেন, "নরেন্দ্র নারায়ণ রায়ের বংশধরগণের মধ্যে পায় সকলেই কৃতী পুরুষ ছিলেন ; তন্মধ্যে স্বৰ্গীয় মহিমাচন্দ্র রায় এবং নকুলেশ্বর রায় বিশেষ উল্লেখযোগ্য । ইহারা স্ব স্ব ক্ষমতায় বিপুল সম্পত্তি অর্জন করিয়াছেন। মহিমাচন্ত্রের মৃত্যুর পর তৎপত্নী বাণী কমলকুমারীচৌধুরাণী বিষয় কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ কবিতেছেন। এই রমণী যে প্রকার বুদ্ধিমতী, তদ্রুপ তেজস্বিনী। ষ্টেটের সমস্ত কাৰ্য্যভার কৰ্ম্মচারিবর্গের উপর নির্ভর না করিয়া তিনি স্বয়ং পর্যবেক্ষণ করিতেছেন ; ইহার কার্ষ্য কুশলতায় অনেক ভূসম্পত্তি বৃদ্ধি হইয়াছে। দুর্ভাগ্যবশতঃ ইহার কোন পুত্র নাই ; দুইজন দৌহিত্র বর্তমান আছেন, উভয়েই শিক্ষিত, বিনয়ী এবং ধাৰ্ম্মিক।” • এই বংশীয়ের ক্রিয়াকৰ্ম্মে যাগযজ্ঞে ও মন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণে যথেষ্ট সদ্ব্যর করিয়াছেন। একটি উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালয় ও একটি দাতব্য চিকিৎসালয় উহাদের ব্যয়ে চলিতেছে। রাজা জয়চs vকালী প্রতিষ্ঠার জন্য এক অত্যুচ্চ মুন্দর পঞ্চরত্ন মন্দির নিৰ্ম্মাণ করেন ; ঐ মন্দিরের গায়ে ঘুরান সিড়ি-যুক্ত একটি গোলাকার স্তম্ভ ছিল। মন্দিরটি এখন জঙ্গলাকীর্ণ হইয়া ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে । বনগ্রামে আরও একটি আধুনিক পঞ্চরত্ব শিব-মন্দির আছে। উহা জয়চন্সের পুত্র রামচক্সের পত্নী রসমণি চৌধুরাণী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরটি ভাল অবস্থায় আছে এবং তথায় নিত্য পূজা হয়। উছার ভিতরের মাপ ১৮^x ১৮ ফুট । রসমণি

  • दांकून, २** २ ५: ।