পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাড়াপাড়ার রায়চৌধুৰীৰংশ Syst S) (১) পরগণান্ধয় গবর্ণমেণ্টের হাতে থাকিবে, (২) উহার সদর খাজনা মাপ হইবে এবং (৩) মালিকগণ প্রতি বৎসর গবর্ণমেণ্টের নিকট হইতে ২,••• দুই হাজার টাকা মালিকানা স্বরূপ পাইবেন। সরিক সংখ্যা বৃদ্ধি এবং হস্তাস্তরের ফলে মালিকানার সমন্ত টাকা বহু অংশে বিভক্ত হইয়াছে। প্রত্যেক অংশীদার খুলনা (5elfs "akoll of Recipients of permanent Malikana” zijn of হিসাব-ভূক্ত হইয় ট্রেজারী হইতে বৎসর বৎসর নির্দিষ্ট টাকা পান। প্রাপ্য টাকার পরিমাণ কম হইতে পারে, কিন্তু গবর্ণমেণ্টের নিকট হইতে মালিকান পাইবার সন্মান সামান্ত নহে। কাড়াপাড়ার এই জমিদার বংশ প্রায় ৩০বংসর খুলনার অধিবাসী। তাহারা বঙ্গজ সমাজের বিশিষ্ট কুলীন। এজষ্ঠ আর ও অনেক বঙ্গজ পরিবার র্তাহাদের কুটুম্ব ও আশ্রিত ভাবে কাড়াপাড়ায় ও পার্শ্ববর্তী গ্রামসমূহে বাস করিতেছেন। শুধু তাছাই নহে, অন্তজাতি ও সমাজের সদ্বংশীয় ব্যক্তির তাহাদের বাটতে চাকরীবৃত্তি-স্থত্রে হাবেল পরগণায় আসিয়া বাস করিয়াছেন। কাড়াপাড়ার জমিদারদিগের দেওয়ান বংশীয় বাসাবাটীর নাগ, দশানির বিশ্বাস, কাড়াপাড়ার দত্ত, কৃষ্ণনগরের বসু, ফুলতলার ভঞ্জ প্রভৃতি বংশসমূহ উপনিবিষ্ট হইয়াছেন। ইহাদের মধ্যে অনেকে এক্ষণে ধনসমৃদ্ধিতে খ্যাতিসম্পন্ন । বর্তমান রাজপুরোহিতগণ এবং অন্যান্ত কুলীন বংশজ ব্রাহ্মণবর্গ এই জমিদারদিগের বৃত্তিভোগী হইয়া এখানে সমাজ-কেন্দ্র স্থাপন করিয়া বাস করিতেছেন। এই বংশে বহু ভাগ্যবান কৃতীপুরুষের জন্ম হইয়াছে । মুনিরাম একজন সাধক বলিয়া খ্যাত। তাছার নামে বাগেরহাটের একাংশকে মুনিগঞ্জ বলে, তথায় তিনি মুনিগঞ্জেশ্বরী ৮কালী ও শিবের মন্দির নির্মাণ করিয়াছেন। তদ্বংশীয় vমহিমাচন্দ্র রায় একবায় উহার সংস্কার করেন ; কিছুদিন হইল দশানী নিবাসী বাবু মহেন্দ্রনাথ বিশ্বাস পুনরায় উছার সংস্কার করিয়া দিয়াছেন। রহিমাবাদে (বয়নাবাজে ) যে গোবিন্দগঞ্জ বাজার ছিল, তাহ মুনিরামের পৌত্র গোবিন্দ চক্সের কীৰ্ত্তি । বাগেরহাটের বাজার উক্ত গোবিন্দের পৌত্র মহিমাচন্দ্র রায় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ; তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা মাধবচক্সের নামে ঐ বাজারের জন্য নাম মাধবগঞ্জ। ১৮৬৩ খৃঃ অন্ধে যখন বাগেরহাট একটি সব ডিভিসন হয়, তখন মহিমাচন্ত্র রায় ঐ জন্য ৫৫ বিঘা জমিদান করেন এবং পরবৎসর ঐ স্থানে একটি