পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eş s fif *8為 আর যে দেশের ভূমি তুলার চাষের উপযুক্ত ও লোকে লৈ চাষ জানে, যেখানে এখনও চাষীর মুখে শুনা যায়, ষোল চাষে মূল, তার অর্ধেক তুল, যে যশোহর-খুলনায় এখনও ব্রাহ্মণের সাধারণতঃ স্ত্রী-কস্তার হস্তরচিত স্বল্প পৈত ভিন্ন পরেন না, যেখানে এখনও কার্পাসতরু গৃহকোণ হইতে চিরবিদায় লয় নাই, সেই সমুৰ্ব্বর-ক্ষেত্ত্ববহুল শিল্পীর নিবাস-ভূমে শাস্ত্রই যে অল্পবস্ত্রের জন্য পরের দ্বারস্থ হওয়ার অভ্যাস বন্ধ হইবে, তাহ আশা করিতে পারি। চিনিই যশোহরের প্রধান পণ্য। এখানে ইক্ষুর চাষ বা ইক্ষুর চিনি অতি কমই হয়। চিনি বলিতে এ অঞ্চলে খেজুর চিনিই বুঝায়, কারণ উছাই সহজে ও সস্তায় উৎপন্ন হয়। লবণাক্ত ভূমিতে ভাল ইক্ষু জন্মে না ; উচ্চ জমিতে যথেষ্ট চাষ ও অতিরিক্ত সার দিয়া পরম যত্নে ইক্ষু জন্মাইতে হয় এবং ক্ষেত্রগুলি সমস্ত বৎসর ধিরিয়া রাখিয়া উহার পাছে লাগিয়া থাকিতে হয়। অপর পক্ষে এদেশে খেজুর গাছ সহজে জন্মে, একটু উচ্চজমিতে বীজ ছড়াষ্টর রাখিলেই গাছ হয়, ছাগল গরুর উৎপাতের ভয় নাই, ক্ষেত্র বিরিতে হয় না, বৎসরের মধ্যে একবার জমিখানিতে চাষ দিয়া রাখিলেই চলে। ৬৭ বংসর পরে গাছগুলি হইতে রস বাহির করা যায় এবং পরবর্তী অন্ততঃ ২৫/৩০ বৎসরকাল উহা একটি বাৎসরিক লাভের সম্পত্তি হইয় থাকে। খেজুরগাছ যশোহর-খুলনার একটি প্রধান বিশেষত্ব ; এখানকার লোকেই ইহা কাটির রস বাহির করিতে এবং রস হইতে গুড় চিনি প্রস্তুত করিতে জানে। অন্ত জেলার লোকে তাহ জানে না । এমন কি, অন্ত জেলায় খেজুরগাছ থাকিলেও তাহার সদ্ব্যবহার হয় না ; সময় সময় উহার পাত দিয়া পাট এবং সাহেবী হাট তৈয়ার করা হয় মাত্র । হুগলী জেলায় দেখিয়াছি, ধগু’রে লোক তাহদের নিজ অস্ত্র লইয়া সেখানে না গেলে, বৃক্ষগুলি অস্ত্রাঘাত পায় না, কণ্টকিত তরু সরস হয় না। যে বৎসর গাছ “দিবার” ( কাটিবার ) জন্ত যন্তরে গাছি যায়, সে বৎসর তাহার একচেটিয়া কারখানা বালক বৃদ্ধের জয়োল্লাসে পূর্ণ হইয় উঠে এবং সেও কিছু পয়সা লুটিয়া লইয়া স্বদেশে আসে। কিন্তু তবুও সহজে ঘরুয়া বাঙ্গালী সকল বৎসর পরদেশী হইতে চায় না। * যশোহর-খুলনার লোককে গুড় প্রস্তুত করার কথা ন শুনাইলেও চলিতে পারিত। তৰে অনেকে দেশে থাকেন না, থাকিরাও দেখিতে জানেন না,