পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীলের চাষ ও নীল-বিদ্রোহ ቈሥዋ চাষ হয় নাই; বিদ্রোহ থামিলে আবার সকলে নীল বুনিল। ৰেলৰ কুঠির সাহেবের উগ্ৰমূৰ্ত্তি ধরিয়াছিলেন, তথায় নীলের চাষে আর সুবিধা হইল না। মোহাটির প্রধান কাৰ্য্যকারক বংশীবদন সরকার পুরাতন ৰীজ বপন কৱিৰায় ব্যৰন্থ করায় নীলের গাছ উঠিল না। বংশীবদনের ত চাকরী গেলই, অধিকন্তু ঐ কানুসরণের সাহেবের শীঘ্রই কারবার বন্ধ করিলেন। কাঠগড়া কানুসরণ মোটেই খুলিল না। যে সব কুঠির সাহেবের আবার প্রজার সঙ্গে মিলিয়া মিশিয়া চলিতে লাগিলেন, সেখানে রাইয়ুতের অন্ততঃ কতক জমিতে আবার নীলের চাষ করিল। হাজরাপুরের টুইউী সাহেবের প্রজাগণ বিদ্রোহের দুই ৰৎসর নীলের চাষ না করিলেও বিদ্রোহী হয় নাই। নীলের কুঠি চলিতে লাগিল বটে, কিন্তু জোর করিলে চাষ বৃদ্ধি হইত না । উৎপরের পরিমাণ হ্রাস হওয়ায় কারবারে লোকসান হইতেছিল, তাই ক্রমে অনেক কুঠি বন্ধ হইতে লাগিল । আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, ১৮৪৯ হইতে ১৮৫৯ পর্য্যন্ত দশবৎসর মধ্যে গড়ে প্রতিবর্ষে যশোহর হইতে ১০,৭৯১ মণু নীল উৎপন্ন হইত। তখনকার হিসাবে উছার জন্য ১৪৩ বর্গমাইল জমির চাষ লাগিয়াছিল। • বিদ্রোহের ১৬ বৎসর পরে অর্থাৎ ১৮৭০ অব্দে ওয়েষ্টল্যাও সাহেবের হিসাবে ঐ চাষ ৮৪ বৰ্গ মাইল দাড়াইয়া ছিল, এবং ১৮৭২-৭৩ জন্ধে রামশঙ্কর সেনের রিপোর্টামুসারে উৎ a৯ বর্গ মাইলে আসিয়াছিল। এইরূপে চাষের পরিমাণ আস্তে আস্তে কমিতেছিল। এমন সময়ে ১৮৮৯ অজে পুনরায় নীল-বিদ্রোহ উপস্থিত হইল । এই দ্বিতীয় বিদ্রোহ সৰ্ব্বত্র হয় নাই ; ইহা প্রধানতঃ যশোহরের উত্তরভাগে বিজলিরা ডিভিসনে সীমাবদ্ধ ছিল। বিজলিয়া কুঠির অধ্যক্ষ ডাল ( Mr. Durup De Dambal ) nitrza vrstsfrk Refn erra wty" i մ কুঠির অধীন ৪৮ গ্রামের লোকে দলবদ্ধ হইয়া নীল বপন বন্ধ করিল। কৃষক ও জোতদারের একত্র হইয়া ধীবরের জমিদার বাৰু বন্ধবিহারী ও তৎকনিষ্ঠ ৰলন্ত কুমার মিত্ৰ মহাশয়কে নেতৃত্ব গ্রহণ করাইল। ক্ষিপ্ত কৃষকের সাহেৰকে আক্রমণ ও নির্ধ্যাতন না করিয়া তৃপ্ত হইল না, আরও কত উপঞ্জৰ ঘটাইল, তাহা বলিবার স্থান নাই। ডাল সাহেব রামনগর ও বাবুখালি কানুসরণের

  • Hunter's jessors, p. 3oo.