পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

եՀԿ যশোহর-খুলনার ইতিহাস বণিকদ্বিগের মধ্যে স্বরর্ণবণিকগণ মাত্র রাজকোপে পতিত হইয়া সমাজে পতিত হইয়াছিলেন, নতুবা সুবর্ণ অপেক্ষ কাংস্তের মূল্য অধিক হইত না। যশোহরের উত্তরাংশ বণিক অর্থাৎ গন্ধবণিকগণের প্রধান স্থান ছিল । বারবাজারের নিকটবর্তী সাকোর বণিকদিগের সম্পদ ও প্রতিপত্তির কথা কবিকঙ্কণের চওঁীকাব্যে উল্লিখিত হইয়াছে। যে বণিকদিগের বাণিজ্য-তরণী ভারতের বাহিরে দূরদেশে যাইত, তাহাদের বৈর্তত্বে সন্দেহ করিবার কিছু নাই এবং মৰ্বশাখের মধ্যে সকলেই বৈপ্তবৃত্তিধারী ব্যবসায়ী, তাহাও সত্য। ব্যবসায়ের সামগ্ৰী, আর্থিক অবস্থা ও দেশকালপাত্র দোষে উহাদের মধ্যে আচার ব্যবহারের তারতম্য হইতে পারে ; কিন্তু যখন তাহাদের কোন কোন শাখা শিক্ষা ও সদাচার সম্পন্ন হইয়া বৈশুত্বের দাবি করেন, শাস্ত্রযুক্তি সাহায্যে উহ সপ্রমাণ করিতে চান, তখন পরাধীন জাতির দীর্ঘকালের সাধারণ পাতিত্য অপরাধ বিস্কৃত না হইয়া, সেই উন্নতীকামী জাতিকে বাধা দিয়া চাপিয়া রাখিবার কি হেতু আছে, তাহা বুঝির পাওয়া যায় না। উৰ্দ্ধগামী হইলে কোমল ছত্রককেও কঠিন ভূমিখণ্ডে বাধা দিতে পারে না। বৈশ্য বারুজীবী—নবশাখের মধ্যে যশোহর-খুলনায় বারুজীবী বা বারুই জাতির সংখ্যা অধিক । মোটামুটি হিসাবে যশোহরে প্রায় ১১ হাজার এবং খুলনায় ১৬ হাজার, সমষ্টি প্রায় ২৭ হাজার হইবে। বর্তমান সময়ে এই দুই জেলায় ইহারাই সৰ্ব্বাপেক্ষ উন্নতিকামী জাতি। ইহাদের সম্পত্তি ও প্রতিপত্তি যেমন ক্রমেই বাড়িয়া চলিতেছে, তেমনই ইহাদের জ্ঞান-পিপাসা এবং স্বজাতিপ্রতি একান্ত প্রশংসনীয়। যশোহরের সর্বপ্রধান উকীল রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার বেদাগু বাচস্পতি বিদ্যাবরিধি ( M.A. B.L., C. . E., M. L.A.) মহোদয় এই জাতির উজ্জ্বলতম রত্ন এবং প্রতাপশালী নায়ক । তাহার সৰ্ব্বতোমুখী প্রতিভা যেমন দেশে বিদেশে যশোহরের যশোবৃদ্ধি করিয়াছে, তাহার সৰ্ব্বতোমুখী চেষ্টা তেমনি স্বজাতিকে স্বল্পকালে উন্নতির পথে সবেগে প্রধাবিত করিয়াছে। আরও অনেক বিজ্ঞান ও সম্পন্ন ব্যক্তি র্তাহার সে চেষ্টার সহায় বটে, কিন্তু স্বজাতি সমাজে তাহার ঋণ অপরিশোধ্য। আমরা পরিশিষ্ট খণ্ডে এই কৰ্ম্মবীরের সংক্ষিপ্ত জীবনী লিখিব, এখানে তাহার জাতীয় সমাজ সম্পর্কে দুই একটি মাত্র কথা বলিতেছি । ১৩০৮ সালে যন্ত্রনাথের প্রবর্হিত “বৈগু-বারুজীবী সভা" এই জাতির