পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহর-খুলনার ইতিহাস فوریه যে অন্ত তিনটি সম্প্রদায় আছে, উহার এ অঞ্চলে নাই। এখানকার হানিষ্ঠী সুন্নিদিগকে প্রধানতঃ তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায় ;–(১) আশরাফ (শরফ, শব্দের বন্ধ বচন ) অর্থাৎ উচ্চ শ্রেণীর বিশুদ্ধ মুসলমান ; (২) আতরাফ, ( তরফ, শব্দের বহু বচন ) অর্থাৎ মধ্য শ্রেণীভুক্ত ; (৩) আরজাল (রজীল শব্দ হইতে নিম্পন্ন ) অর্থাৎ নিম্নতম স্তরের অনাচরণীয় মুসলমান । চামার, মেহতর প্রভৃতি আরঙ্গাল শ্রেণীর মুসলমানের সঙ্গে উচ্চ দুই শ্রেণীর কোন সমাজ সম্পর্ক বা আহার ব্যবহার চলে না, উহাদের কোন বিশেষ খাদ্য-বিচার বা ধৰ্ম্মাচার নাই। হিন্দুর মধ্যেও চামার প্রভৃতি থাক আছে। আর্জালুদিগের জন-সংখ্যা খুব বেশী নহে। আমরা এখানে প্রধানতঃ উৰ্দ্ধতন দুই শ্রেণীর কথাষ্ট বলিব । আশূরফ বা সৰ্ব্বোচ্চ শ্রেণীর মুসলমানগণ সৈয়দ, মোগল, পাঠান ও সেখ— এই কয়েকটি প্রধান সম্প্রদায়ভুক্ত। সৈয়দগণ আরব হইতে আগত এবং হজরতের সহিত সম্পর্কিত ; মোগলেরা ইসলাম ধৰ্ম্মে দীক্ষিত মঙ্গোলীয় জাতি ; পাঠান বা আফগান শখ ব্যাপক অর্থ-বোধক, মোগল ও সৈয়দ ব্যতীত যে সব মুসলমান ইরান দেশ হইতে আসেন, উহারাই পাঠান নামে পরিচিত ; সেখও পারস্তাদি দেশ হইতে আগত সন্ত্রাস্ত বংশীর। সৈয়দদিগকে ব্রাহ্মণ এবং অপর তিন সম্প্রদায় এবং আমীর ও র্থ উপাধিধারীদিগকে ক্ষত্রিয়ের সহিত তুলনা করা যায়। যশোহর-খুলনায় সেখ ব্যতীত অপর সকলের সংখ্যা ২৫ হাজারের অধিক হইবে না, কিন্তু সেখের সমষ্টি প্রায় ১২ লক্ষ। সেখের মধ্যে কতক আশরফ, এবং অধিকাংশ আতরফ, শ্রেণীতে পরিগণিত। আশরফ সেখেরা পশ্চিম দেশ হইতে আগত সন্মানিত বংশ, উহাদের সংখ্যা দুই তিন লক্ষ মাত্র। অবশিষ্ট ৯ লক্ষ অর্থাৎ সমগ্র মুসলমান জন সংখ্যার অৰ্দ্ধেক, সেখ-উপাধিধারিগণ ছিলু জাতিয় নিম্নস্তর হইতে বহির্গত হইয় এক সময়ে ক্রমে ইসলাম ধৰ্ম্ম পরিগ্রছ করেন। উহাদেৱ ধৰ্ম্ম পরিবর্জনের ইতিহাস এক্ষণে অতীতের কুক্ষিতলে প্রচ্ছন্ন। এখন তাহাদিগকে পৃথক করিয়া চিহ্নিত কৱিৰার উপায় নাই। বহু গুরুষের সংস্কার ফলে এবং আধুনিক যুগে ধৰ্ম্মভাবের সঞ্জীবনে উহাদের পূর্বস্তৃতি বা চিহ্ন বিলুপ্ত হইয়াছে। পাঠান আমলে ধী জাহান ও র্তাহার অদ্ভুচরগণ কিরূপে ধৰ্ম্ম-প্রচার কার্ধ্যে দিগ্বিজয় করিয়াছিলেন, উহাদের বল-প্রয়োগে বা প্ররোচনায়