পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ-সুন্দরবনে মনুষ্যাবাস। \R6و} ১৫৬৯ খৃষ্টাব্দে সীজর ফ্রেডরিক নামক এক জন ভিনীসীয় ভ্রমণকারী ভীষণ ঝটিকায় সন্দ্বীপের কুলে নিক্ষিপ্ত হন। র্তাহার বর্ণনা হইতে জানা যায় যে সন্দ্বীপ পৃথিবীর মধ্যে একটি সাতিশয় উৰ্ব্বর স্থান। ইহা শস্তক্ষেত্রে পূর্ণ এবং ঘনসন্নিবেশে লোকাকীর্ণ। এখান হইতে প্রতি বৎসর দুই শত জাহাজ লবণ বোঝাই হইয়া বিদেশে যায়। এতদ্দেশে জাহাজ নিৰ্ম্মাণের উপাদান এত অধিক যে তুর্ক সুলতান আলেকজেন্দ্রিয়া অপেক্ষ এখান হইতে জাহাজ নিৰ্ম্মাণ করিয়া লওয়া সুলভ মনে করিয়াছিলেন।ঙ্গ যে স্থানের এইরূপ প্রতিপত্তি সুদূর ইউরোপেও ব্যাপ্ত হইয়াছিল, তাহা যে সুন্দরবনের অসভ্য জাতির আবাস স্থান, এরূপ বলা যায় না। দ্বিতীয়তঃ, মিশনর র্যালফ ফিচ ( Ralph Fitch ) যখন ১৫৮৬ খৃষ্টাবো বাকুল পরিদর্শন করেন, তখন এ দেশকে উৎকৃষ্ট ও সমৃদ্ধ দেখিয়াছিলেন। কিন্তু বিভারিজ সাহেব তাহার কথা বিশ্বাস করেন নাই ; কারণ তিনি পূর্ববর্তী বৎসরে বরিশালে যে ঝটিকা ও প্লাবন হইয়াছিল, তাহার বর্ণনা দিতে ভুলিয়াছিলেন। ১৫৮৫ খৃষ্টাব্দে বাকূল অঞ্চলে ভীষণ ঝটিকা হইয়াছিল, এবং ২১ বৎসরে তাহার চিহ্ন বিলুপ্ত হয় নাই, ইহা সত্য। কিন্তু ভ্রান্তি বশতঃ তাহার প্রসঙ্গ উল্লিখিত হয় নাই বলিয়াই বৃদ্ধ ধৰ্ম্মপ্রচারকের বর্ণনায় অপ্রত্যয় করা সঙ্গত হয় নাই । কিন্তু এস্থলে অবিশ্বাস করিলেও মিশনরী যেখানে এ দেশের লোক প্রায় উলঙ্গ এবং তাহারা কেবলমাত্র কটাতে সামান্ত একটু কাপড় পরিধান করে, এইরূপ বর্ণনা করিয়াছেন, সেখানে কিন্তু মিশনরীর কথায় সম্পূর্ণ বিশ্বাস করিয়া, মহামতি বিভারিজ এদেশীয় লোককে অসভ্য প্রতিপন্ন করিয়াছেন। শীতপ্রধান পাশ্চাত্য দেশীয় লোকে আমাদের মত গ্রীষ্মপ্রধান দেশের লোকের বস্ত্র-ব্যবহার দেখিয়া, এখনও এদেশীয় লোককে উলঙ্গ বলিয়া থাকেন। প্রত্যেকেই নিজের অবস্থাকে আদর্শ করিয়া লয়। কিন্তু সব দেশে সব আদর্শ খাটে না । আমরা শাপল্যাণ্ডের লোকের চৰ্ম্মসাজ দেখিয়া যেরূপ বিস্মিত হই, তাহারাও আমাদের দেশের বস্ত্রাল্পত দেখিয়া সমভাবে বিস্মিত হয়। আবার বিভারিজ বাক্লাকে

  • Noakhali District Gazetteer.

సి