পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরম্পরারও ধারাবাহিক উল্লেখ করিতে হইয়াছে। এমন কি, স্থানে স্থানে দিল্লীর কথাও চক্ষুর অন্তরালে রাখিতে পারি নাই। দেশের ইতিহাসের সহিত যশোহর-খুলনার যে একটু আধটু সম্পর্ক আছে,পারিপাশ্বিক ঘটনার সহিত মিল রাথিবীর জন্য, আমাকে সেই সম্পর্কে স্থানে স্থানে দেশের কথাও বলিতে হইয়াছে। পাঠকগণ ইহাতে বিরক্ত হইবেন কিনা জানি না, তবে আমার বিশ্বাস এই যে,বঙ্গের অঙ্গ হইতেছিন্ন করিলে যশোহর-খুলনার মত স্থানের বিচ্ছিন্ন কাহিনীর মূল্য অতি কম, আর ঐতিহাসিকত দুৰ্ব্বোধ্য হইলে, প্রবাদকাহিনী বৃদ্ধসৈনিকের গল্পকথায় পর্য্যবসিত হয়। র্যাহারা জেলার ইতিহাস লিখিতেছেন, বাঙ্গালার ইতিহাসই র্তাহাদের মুখ্য উদ্দেশু। “বাঙ্গালার ইতিহাস চাই ; নইলে বাঙ্গালী কখনও মানুষ হইবে না।” এ লক্ষ্য হইতে ভ্ৰষ্ট হইলে চলিবে না। সুতরাং বাঙ্গালাকে বাদ দিয়া কোন জেলারই অধিবাসী বাঙ্গালীর ইতিহাস লেখা যায় না। আমি অনেক জিনিস যশোহর-খুলনায় টানিয়া লইয়াছি। টানিয়া লইবার কি কারণ বা অধিকার আছে, আমার অনুমানের কি ভিত্তি আছে, তাহ অবশু সঙ্গে সঙ্গেই সংযোজিত করিয়াছি। কোন কোন স্থানে একটা লোভনীয় প্রত্নকীৰ্ত্তিদ্বারা যশোহরকে যশোভূষিত করিবার জন্ত হয়ত সাধারণ দৃষ্টিতে যশোহরের সীমা বৰ্দ্ধিত করিয়া দিয়াছি। কিন্তু বর্তমান যশোহর জেলা ও প্রাচীন যশোর রাজ্য উভয়ের সীমার একটা বিশেষ আভাস দিয়া থাকিলে আমি হয়ত ক্ষমার্হ হইব । সম্পত্তি বৃদ্ধি করিতে হইলে কিছু টানিয়া লওয়ার একটা রীতি আছে ; আমি হয়ত সেই ভাবে টানিয়া লইয়াছি। বিভিন্ন জেলার ঐতিহাসিকগণ এই ভাবে টানিয়া লইবার জন্য জাল পাতিলে মোটের উপর যে নুতন তথ্য উঠিবে, উহ! বাঙ্গালার ইতিহাস-লেখক বিনা গণ্ডগোলে স্বচ্ছনে ভোগ করিবেন। আমি যাহা টানিয়া লইয়াছি, সঙ্গত আপত্তি উত্থাপন করিয়া, প্রত্নতত্ত্ববিদের নিকট স্বত্বের মোকদ্দম করিয়া, অন্য কেহ তাহা স্বচ্ছলো নিজের করিয়া লইতে পারেন। আমি তজ্জন্ত বিন্দুমাত্রও দুঃখিত হইব না। যদি কোন সম্পত্তিকে লাভের সম্পত্তি বলিয়া প্রমাণ করিতে পারিয়া থাকি, তবে তাহা যে কেহ ভোগ করেন, তাহাতেই বাঙ্গালার লাভ। جد নূতন ঘর বাধিবার মত নূতন ঐতিহাসিক পুস্তক প্রকাশ করিবার জন্য