এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
দ্বাদশ পরিচ্ছেদ – জঙ্গল ভাষা - ১১৫
“বাগ” লাগান থাকে, সেইরূপ দুই পাশ্বে ঐরূপ যে ছোট ছোট কাঠ মাঝে মাঝে লাগান থাকে, তাহাকে গোছা বলে।
- গ্যাড়া — গণ্ডার।
- ঘোষড় (বন) — নিবিড় বা দুষ্প্রবেশ্য।
- চ’ট বা চইট — চলাচল বা যাতায়াত। যেমন অমুক বনে খুব হরিণের চ’ট আছে, অর্থাৎ সে বনে অনেক হরিণ চলাফেরা করে।
- চ’ড় বা চইড় — নৌকা ঠেলিয়৷ সরাইবার বা চালাইবার জন্য ব্যবহৃত সরু কাষ্ঠ বা বংশ দণ্ড ।
- চাড়া — উচ্চ অর্থাৎ যেখানে বাঘের অত্যাচার আছে। “গরম” দেখ।
- চাপান — নৌকা বাধিয়া থাকা।
- চাপান সারা — রাত্রিতে নৌকারোহীদিগের নিদ্রার পূৰ্ব্বে মন্ত্র দ্বারা বাঘের অত্যাচার নিবারণ করা।
- চেলা — শিষ্য।
- চেরাক, চেরাগ — প্ৰদীপ।
- চোট - বন্দুকের আঘাত।
- ছই — নৌকার উপরিস্থ আবরণ।
- ছাপ্পর — ছই।
- ছাওয়াল পীর — পাঁচ পীরের অন্যতম
- ছিট — ছোট গাছ, যেমন সুন্দরের ছিট অর্থাৎ অল্পবয়স্ক সরু ও দীর্ঘ সুন্দরী গাছ।
- জরাল — নদী-তীরবর্তী প্রকাণ্ড ভূমিখণ্ড, যাহা সময় সময় নদীর মধ্যে ভাঙ্গিয়া পড়ে।
- জায়গীর — বানর।
- জোয়ার — সমুদ্র হইতে উপরদিকে জলপ্রবাহ।
- জোয়ারিয়া — উপর বা উত্তরের দিকে। যেমন অমুক স্থান অমুক স্থানের জোয়া’রে অর্থাৎ প্রথম স্থানে যাইতে হইলে দ্বিতীয় স্থান হইতে জোয়ার দিয়া নৌকায় যাইতে হয়।
- জোগা — অমাবস্যা পূর্ণিমার নিকটবৰ্ত্তী অতিরিক্ত জলোচ্ছাসের সময়।
- ঝা’ল — শুকনা গাছের অগ্রভাগ।
- টোপ — খোলা স্থানে গৰ্ত্ত করিয়া, তন্মধ্যে বসিয়া শিকার করাকে টােপে শিকার বলে।
- ডালি — নৌকায় তক্তা দ্বারা তলদেশ গড়িয়া আসিয়া সৰ্ব্বোপরি দুই পার্শ্বে যে অপেক্ষাকৃত পুরু দুইখানি তক্তা লম্বালম্বিভাবে লাগান থাকে, তাহাকে “ডালি” বলে।
- দোস্তি - বন্ধুত্ব।
- দোখালা — যেখানে দুই পার্শ্বে দুইটি সমান আকারে খাল গিয়াছে, তখন তাহাকে দোখালা বলে। কিন্তু যদি উহার একটি খাল ছোট ছয়, তবে তাহাকে পাশখালি বলে।