পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృవీly যশোহর-খুলনার ইতিহাস । এ পর্যন্ত আমরা যে দ্বাদশটি দ্বীপের নামোল্লেখ করিলাম, তন্মধ্যে অগ্রদ্বীপ ও নবদ্বীপ ভাগীরথীর উভয় পারবর্তী এবং তদ্ব্যতীত সবগুলিই ভাগীরথীর পূর্বভাগে সংস্থিত। নবদ্বীপ হইতে দক্ষিণে আসিয়াও ভাগীরথী পশ্চিমপারে দ্বীপগঠন করিয়াছেন, তবে সংখ্যায় অল্প এবং সবগুলি সংকীর্ণ। কারণ সেদিকে মুহ্ম রাজ্য বা দক্ষিণ রাঢ় অতি প্রাচীন কাল হইতে ছিল। তজ্জন্ত সুহ্ম রাজ্যের দক্ষিণ ভাগে দামোদর ও গঙ্গার মধ্যস্থলে কয়েকটি দ্বীপের উদ্ভেদ হয়। যেখানে এক্ষণে ৮তারকেশ্বরের মন্দির অবস্থিত, উহার পূৰ্ব্বনাম ছিল সিংহলদ্বীপ ; ইহারই সন্নিকটে সিঙ্গুর বা সিংহপুর। প্রবাদ এই, সেখানে পূৰ্ব্বে সিংহবাহু রাজা বাস করিতেন। তৎপুত্র বিজয়সিংহ সমুদ্রপথে লঙ্কা বা তাম্রপণী দ্বীপে গিয়া তাহা জয় করিয়া সিংহল নাম রাখেন, এখনও সেই নাম চলিতেছে। সিঙ্গুরে সিংহের ভেড়ী, রতনপুর (রত্নমালার ঘাট), দক্ষিণ মশাট (মশন) প্রভৃতি গ্রামগুলি পূৰ্ব্বস্তৃতি জাগাইয় দেয়। সিংহদিগের রাজত্বস্থান যে পূৰ্ব্বে একটি দ্বীপ ছিল, এবং প্রথমে তাহারা তথায় রাজা প্রতিষ্ঠার সময় উহার সিংহলদ্বীপ নাম রাখেন, তাহ প্রচলিত গান ও কবিতা হইতে জানা যায়। * পরে বিজয়সিংহ যখন লঙ্কাদ্বীপে বিজয়পতাকা উড়ান করেন, তখন নিজের বাসভূমির আদর্শে তাহারও নাম সিংহলদ্বীপ রাখেন, ইহাই সঙ্গত বলিয়া মনে হয়। এইরূপে গঙ্গার এপারে ওপারে এবং উহার বহুশাখার দুইপারে ধীরে ধারে প্রাচীনকালে অসংখ্য দ্বীপের স্বষ্টি হইয়াছিল । সমগ্র বঙ্গদেশ এই অসংখ্য দ্বীপের সমষ্টিমাত্র। মিসর বা প্রাচীন মিশ্রদেশের অধিকাংশ যেমন নীল নদী হইতে উৎপন্ন হইয়াছিল বলিয় তাহাকে নীল নদীর প্রদত্ত ফল (the giftof the Nile) বলিয়া উল্লিখিত হয়, বঙ্গভূমিও সেইরূপ গঙ্গার প্রদত্ত দল (the gift of the Ganges ) বলিয়া কথিত হইতে পারে। আমাদের আলোচ্য যশোহর ও খুলনা জেলা এই প্রাচীন বঙ্গের অংশমাত্র। উহীও অসংখ্য দ্বীপের সমষ্টি। “বন্দিলেন বনের মধ্যে ক্ষেপ। পশুপতি চারিদিকে জল জঙ্গল থাগড়ার বসতি ; মধ্যেন্তে সিংহলদ্বীপ অতি মনোহর তার মধ্যে বিরাজেন প্ৰভু তারকেশ্বর।" কুশদ্বাপকাহিনী (ইচুর্গাচরণ রক্ষিত সংগৃহীত)৬৬ খৃঃ “cऔप्छ्रद्र इंठिशन", २घ्र १७, »sv शृः। -