পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ দ্বীপের প্রকৃতি। উপবঙ্গ যে সকল দ্বীপ লইয়া গঠিত হইয়াছিল, উহার লোকের বসতিহেতু ক্রমে নানা গ্রামে বিভক্ত হইয় পড়ে। ঐ সকল নামের সহিত দেশের সাধারণ প্রকৃতির একটা ইতিহাস প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে। সুহ্মভাবে পর্যালোচনা করিলে আমরা দেখিতে পাই, এই যশোহর ও খুলুনার গ্রাম সমূহের নামের পূৰ্ব্বে বা পরে কতকগুলি পরিচয়াত্মক শব্দ আছে। উহাদের মধ্যে বিশিষ্টগুলিকে আমরা এইভাবে সাজাইয়া রাখিতে পারি, যথা –দোহা, ঘোন, মোহান, খালি, ডাঙ্গা, কুল, দাড়ী, ঘাট, দিয়া, দহ, চর, চক, বুনিয়া, কাটি, আবাদ, পোল, কোল, মারা, খোলা, খাদ, গীতি, মহল, তলা, তলী, গাছ, গাছি, গ্রাম, পুর, নগর, ঘর, বাড়ী, বাড়িয়া, পাড়া, পাশা, ভোগ, কুণ্ড, হাট, হাট, খান, কা, গঞ্জ। বোধ হয়, এই দুই জেলার চৌদ্ধ আন গ্রামের শেষে ইছাদের কোন না কোন শব্দ আছে। তাহা হইতে ঐ সকল স্থানের পূর্বাবস্থার আভাস পাইবার সুবিধা হয়। এতদঞ্চল প্রথমতঃ জলে মগ্ন ছিল; পরে ভূমি গঠন হইতে থাকে ; নবোথিত ভূমিভাগ চিহ্নিত করিতে কোন দোহা বা আবৰ্ত্ত, ঘোনা বা নদীর - বাক এবং মোহানার নিদর্শনে স্থানের নাম হইতে থাকে। সাগরদোহ, : গৌরী ঘোনা, মাগুরাঘোনা, ত্রিমোহিণী প্রভৃতি নামের ইহাই উৎপত্তির কারণ হইতে পারে। যখন দ্বীপ জাগিয়া উঠিতে লাগিল, তখন সেই চর সকল মধ্যবৰ্ত্ত জলভাগ অর্থাৎ গাঙ্গ বা খালের নামে পরিচিত হইল ; যেমন দ্বিগঙ্গা, গাঙ্গনী, চাদখালি, গদখালি, খলিসাখালি প্রভৃতি। যখন নদীর কুলে উচ্চজমি বা ডাঙ্গা জামিল, তখন “ডাঙ্গা” দিয়া অসংখ্য গ্রামের নাম হইতে লাগিল; যেমন নলডাঙ্গ, গোবরডাঙ্গ, ব্রাহ্মণডাঙ্গা । যখন দ্বীপ পরিষ্কার হইয়া উঠিল, তখন “দিয়া” ও “দহ” দ্বার নাম চলিল ; রাজদিয়া, ধানদিয়া, ঝিনাইদহ, বাঁশদহ। যেখানে দুই দিকে জলের ভিতর চরের উপর লোকের বাজী হুইল, তখন সে স্থানের নাম হইল দিয়াড়। এ দুই জেলায় অনেকগুলি দিয়াড় ऑप्श् । कद्र नकल दिछिद्र कुरु व अश* दिउख् इहेब, cगांrरुद्र कड्रॉक्छ হইতে লাগিল, তখন “চর” ও “চক” গ্রামের নামে এছিত ৰইখা ছিলঃ