পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છે8ર যশোহর-খুলনার ইতিহাস । যেমন, চরকাটি, বকচর, চাকদহ, চক শ্ৰী (চাকসিরি)। ক্রমে স্থানে স্থানে জমিতে জঙ্গল জমিয়া বুনিয়া হইতে লাগিল ; যথা বুজবুনিয়া, তালবুনিয়া। এই জঙ্গল কাটিয়া লোকে যখন আবাদ করিতে লাগিল, তখন ‘কাটি ও ‘আবাদের ছড়াছড়ি হইল ; মামুদকাটি, কাটিপাড়া, চূড়ামণকাটি। খুলনা ছাড়াইলে বরিশাল জেলায় প্রধান প্রধান স্থানের নাম অধিকাংশই কাটি সংযুক্ত। রায়েরকাটি ঝালকাট, সিদ্ধকাটি, কাটির আর অবধি নাই। যাহারা কোনস্থানে প্রথমে “কাটির আবাদ” করিয়া অর্থাৎ জঙ্গল কাটিয়া বসতি পত্তন করিয়াছিল, তাহাদিগকে সাধারণ কথায় কাটিকাটা বাসিন্দা বলে। এই সকল লোকের চেষ্টায় ইমাদাবাদ, আমীরাবাদ, নয়াবাদ, প্রভৃতি অসংখ্য বনভূমি আবাদ হইল এবং আবাদ সকল বাধবন্দী হইয়া শস্তক্ষেত্রে পরিগণিত হইতে লাগিল। তখন বেনাপোল, আলুতাপোল, শ্ৰীকোল, বালিখোলা প্রভৃতি কত স্থান হইল। শস্তক্ষেত্র সকল নানা জনের নানা নামে “গীতি’ ও ‘মহলে’ বিভক্ত হইয়া নানা প্রকারে তলা, তলী, গাছ, গাছি প্রভৃতিতে চিহ্নিত হইতে লাগিল। বুনাগাতি, আইচগতি, সিংহগতি, চন্দনীমহল, ফুলতলা, বঁাশতলী, চৌগাছা, কলাগাছি প্রভৃতি। সঙ্গে সঙ্গে পল্লীনিৰ্ম্মাণের সাধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী, পুর, নগর, গ্রাম, ঘর, বাড়ী, বাড়িয়া, পাড়া, পাশা প্রভৃতি যোগ হইয়া খুলনা যশোহরের প্রায় অৰ্দ্ধেক গ্রাম বিজ্ঞাপিত হইল। সত্ৰাজিৎপুর, দৌলতপুর, মহেশপুর, বিষ্ণুপুর, জয়নগর, মুরনগর, বনগ্রাম, পয়গ্রাম, মূলঘর, তেঘরিয়া, কচু বাড়িয়া,সোণাবাড়িয়া, লক্ষ্মীপাশা, মহেশ্বরপাশা, চাদপাড়া, কাড়াপাড়, নওয়াপাড়া প্রভৃতি বিখ্যাত গ্রামের আদিম উৎপত্তি এইভাবে। বসতির সহিত বিপণির প্রয়োজন ; হিন্দুর হট্ট বা হাট, মুসলমানের বাজার এবং বৈদেশিকের গঞ্জ ও আড়ংএ পরিণত হইল । বাগেরহাট, নহাটা, সেখহাটি, সেনহাটি, বারবাজার, সেনের বাজার, কালীগঞ্জ, মোরেলগঞ্জ, হেঙ্কেলগঞ্জ, আড়ংঘাট ও আড়ং গাছ প্রভৃতি স্থান ইহারই পরিচয়স্বরূপ। এইরূপভাবে যশোহর ও খুলনার প্রায় গ্রামগুলির নাম লইয়া পৰ্য্যালোচনা করিলে, দেশের প্রকৃতির কতকটা জ্ঞান হইতে পারে। যে পর্যায়ে পর পর কতকগুলি গ্রামের দৃষ্টান্ত ঞ্জেী গেল, সেরূপভাবে একটির পর একটির উৎপত্তি না হইতেও 'ಗಡ್: \್ಲಿ গ্রামের নামের মধ্যে দৈশিক অবস্থার যে একটা সজীব ইতিহাস গ্রন্থঃ