পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহর-খুলনার ইতিহাস । سورنالا বাসুদেব মূৰ্ত্তি উঠে। ঐ সুন্দর মূৰ্ত্তিটির মধ্যস্থানে কতকটা ভাঙ্গিয়া যাওয়ায় মূৰ্ত্তিটি ৮সখিচরণ দাস মোহান্ত কর্তৃক লাউপালার গোপাল মন্দিরের বহিদ্বারে দেওয়ালের ভিতর গাথিয়া রাখা হয়। উক্ত গোপাল বিগ্রহ ও এক সন্ন্যাসীর নিকট হইতে প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছিল। সেও আজ দেড় শত বৎসরের কথা । অষ্টাদশভূজার মূৰ্ত্তি দেখিলেও তাহ অতি প্রাচীন যুগের ভাস্কর্য্যের পরিচয় দেয়। অতি প্রাচীন কঠিন কষ্টি পাথরের প্রস্তুত হইলেও বহুযুগের কালধৰ্ম্মে ইহা অনেকটা ক্ষয় প্রাপ্ত হইয়াছে। তান্ত্রিকগণ বলেন শতভুজ বা অষ্টাদশভূজা প্রভৃতি অধিক সংখ্যক ভুজ বিশিষ্ট মূৰ্ত্তি হিমালয়ের উপরই নিৰ্ম্মিত ও প্রতিষ্ঠিত হইত, ক্রমে হিমাচল হইতে যত দূরে যাওয়া যায়, তত হস্তসংখ্যা কমিয়া মায়ের মূৰ্ত্তি অষ্টভূজ বা চতুৰ্ভুজ ও অবশেষে দ্বিভূজা হইতে থাকে। কোন অনাদিযুগে এই সকল মূৰ্ত্তি প্রস্তুত হইয়া ক্রমে বঙ্গদেশের বহু পীঠস্থানে নীত ও স্থাপিত হইয়া ছিল, তাহ জানিবার উপায় নাই। মোট কথা কপিলেশ্বরী কালীমূৰ্ত্তি, যশোরেশ্বরী কালীমূৰ্ত্তি, আমাদির চামুণ্ডামূৰ্ত্তি এবং পাণিঘাটের অষ্টাদশভূজা মহিষমৰ্দ্দিনী মূৰ্ত্তি যশোহব খুলনার প্রাচীনত্বের সাক্ষ্য দিতেছে। চতুর্থ পরিচ্ছেদ–জৈন বৌদ্ধ যুগ। আমরা দেখিয়াছি অতি প্রাচীন যুগে বঙ্গদেশের কোন কোন অংশ তীর্থস্থানে পরিণত হইয়াছিল। ঐ সকল স্থানে দেবমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল ; সাধুসন্ন্যাসীরা অন্যদেশ হইতে সে সকল স্থান দর্শন করিতে আসিতেন। উত্তরাপথ হইতে যখন ক্ষত্রিয়েরা দিগ্বিজয়ে আসিতেন, বঙ্গবাসীরা তাহাদের সহিত যুদ্ধ করিতেন। মহাভারতের যুদ্ধে বঙ্গাধিপতি গজসৈন্য লইয়৷ 要 করিয়াছিলেন ; রঘুর সময়ে বঙ্গবীরগণ নৌযুদ্ধে অসামান্য রণকৌশল প্রদর্শন করিয়াছিলেন। এ সময়ে বঙ্গদেশে সভ্যতা বিস্তৃত হইতেছিল কিন্তু দেশ প্রকৃতভাবে আর্যভূমি হয় নাই। বঙ্কিমচন্দ্র লিখিয়াছেন “যখন ভারতে বেদ, স্কৃতি,