পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3१३ যশোহর-খুলনার ইতিহাস । “ভারতবর্ষীয় আর কোন জাতি বাঙ্গালীর মত ঔপনিবেশিকতা দেখাইতে পারেন নাই।” উত্তরকালে সিংহলে যে বৌদ্ধ ধর্মের একটি প্রধান কেন্দ্র হইয়াছিল, বাঙ্গালী বীর তাহার পথ দেখাইয়া ছিলেন। ভগীরথের শঙ্খনিনাদের অনুবৰ্ত্তী হইয়া যেমন গঙ্গা-স্রোত বহিয়াছিল, বঙ্গবীরের বিজয় শঙ্খনিনাদে তেমনি বৌদ্ধধৰ্ম্ম-প্রবাহের পথ নির্দেশ করিয়াছিল। এইরূপে যাহারা ভারতমহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছিল, পশ্চিমে তাম্রলিপ্তি, পূৰ্ব্বে চট্টগ্রাম এবং মধ্যে দ্বিগঙ্গা প্রভৃতি নগরী তাঁহাদের প্রধান বন্দর এবং সদর স্থান ছিল। প্রাচীন যশোর ঔপনিবেশিকতায় বঙ্গদেশের বহু স্থানের অগ্রদূত হইয়াছিল। এই ভাবে দেখা গেল আমাদের পূৰ্ব্ব গৌরবের অনেক আভাস এখনও পাওয়া যায়। লুপ্ত গৌরবের কোন ক্ষীণাভাষ দিতে গিয়া যদি কোন গৰ্ব্বভঙ্গি প্রকাশ পায়, আমাদের বোধ হয় তাহাও মার্জনীয়। বঙ্কিমচন্দ্র সত্যই বলিয়াছেন, “অহঙ্কার অনেক স্থলে মনুষোর উপকারী। এখানেও তাই। জাতীয় গৰ্ব্বের কারণ লৌকিক ইতিহাসের স্বষ্টি বা উন্নতি ; ইতিহাস সামাজিক বিজ্ঞানের এবং সামাজিক উচ্চাশয়ের একটি মূল ।” * গঙ্গারেজিয়া যশোরে টানিয়া লইয়া, গঙ্গারাঢ়ের সহিত যশোহরের ঘনিষ্ঠত জ্ঞাপন করিতে গিয়া, যদি কোন দেশগৌরব প্রতিষ্ঠার কল্পনা করিয়া থাকি, তাহাতে বাঙ্গালীর কিছু অগৌরব হইবে না। গঙ্গারেজিয়ার মত আরও কত জিনিসই যে যশোহরের বক্ষে, খুলনার কক্ষে টানিয়া লইতে হইবে, তাহার সংখ্যা নাই। কত অনুমান, কত প্রমাণ তাহার পোষকতা করিবে। অনুমানও একপ্রকার প্রমাণ এবং তাহ অপ্রমাণ করিতে কাহারও বাধা নাই। উত্তেজনাই প্রমাণের পথ সুগম করে, ইতিহাসের কৃষ্টি করে। ইতিহাসই সারগর্ভ গৰ্ব্বের মূল ; গৰ্ব্বিত জাতিরই ইতিহাস আছে। আমাদের আছে কি ? খৃষ্টের জন্মের ৬৭ বৎসর পূর্ব হইতে এদেশে এক নূতন হাওয়া বহিয়াছিল। আর্য্যেরা ক্রমশ: এদেশে আসিতে ছিলেন। প্রথমে ক্ষত্রিয়, পরে বৈপ্ত, সৰ্ব্ব শেষে ব্রাহ্মণ। ক্ষত্রিয়ের রাজ্য জয় করিয়া রাজ্য স্থাপন করিলে কৈশোয়া আসিয়া পণ্য যোগাইতেন। এই ভাবে কতদিনগেল, দেশে ক্রিয় কৰ্ম্ম রহিত্ত * विरु५ &धवरक ‘ बtञणिाग्न इंठिश्म* वृत्रघ्नर्जन; s२४० ।। -