পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমভটে চীন-পর্যাটক । ১৮৩ বসিয়া ঠিক করিয়া বলেন নাই। কানিংহাম সাহেব তাহার বিখ্যাত ভারতীয় প্রাচীন ভূগোলে যেমন বহুস্থানের অবস্থান নির্দেশ করিয়াছেন, তেমন ভাবে বহু বিবেচনা করিয়া এই প্রাচীন রাজধানী মুড়লী বা বর্তমান যশোহর সহরের সন্নিকটে স্থির করিয়াছেন। * আমরা তাহার গণনা প্রণালীর সম্পূর্ণ অনুমোদন করিয়া বলিতে চাই যে রাজধানী মুড়লীর সন্নিকটেই ছিল। এই রাজধানী ঠিক মুড়লীতে থাকাও বিচিত্র নহে, কারণ ইহা অতি প্রাচীন স্থান। তবে বহু বিষয় পর্য্যালোচনা করিয়া আমরা একটি অনুমান করিতেছি যে প্রাচীন সমতটের রাজধানী মুলীর কয়েক মাইল উত্তরে বারবাজার নামক স্থানে ছিল। বারবাজারের বর্তমান অবস্থা বিচার করিলে, এই অনুমানের কারণ বাহির হইবে । - বর্তমান যশোহর নগরী হইতে ঠিক উত্তর দিকে দশ মাইল দূরে বারবাজার অবস্থিত। যশোহর হইতে ঝিনেদহ পর্যন্ত যে নুতন ছোট রেলওয়ে লাইন খুলিয়াছে, বারবাজার উহার একটি প্রধান ষ্টেশন। পূৰ্ব্বকালেও মুড়লী হইতে বারবাজার ও নলডাঙ্গার দিকে খুব বড় রাস্তা ছিল। উহাই বৰ্ত্তমানে ডিষ্ট্রক্ট বোর্ডের রাস্ত হইয়াছে এবং এই ডিষ্ট্রক্ট বোর্ডের রাস্ত দিয়াই রেলওয়ে লাইন গিয়াছে। বারবাজার ভৈরব নদের উত্তর পারে অবস্থিত। ভৈরব যখন পূর্ণ বিক্রমে প্রবাহিত হইত, তখন বারবাজারের অবস্থান অতি সুন্দর ছিল। বারবাজারের এই সুন্দর অবস্থানই তাহাকে সমতটের প্রাচীন রাজপাট বলিয়া নির্দেশ করিবার প্রধান ও প্রথম কারণ। গৌড়, পাটলীপুত্র বা কর্ণসুবর্ণ হইতে পূৰ্ব্বাঞ্চলে আসিতে হইলে ভৈরবতটবর্তী এই স্থানই প্রথম লোকের চিত্তাকর্ষণ করিত। বহু কীৰ্ত্তিচিহ্নমণ্ডিত, বহু প্রাচীন, বহু বিস্তৃত এবং অধুনা অধঃপতিত এমন কোন স্থান এ প্রদেশে আর নাই। দ্বিতীয়তঃ প্রাচীন ইষ্টকালয় নষ্ট হয়, মঠ ভাঙ্গিয়া মন্দির হয়, মন্দির ভাঙ্গিয় মসজিদ হয়, মসজিদ কালে লোকের বসতি বাটতে পরিবর্তিত হয়, কিন্তু প্রাচীন জলাশয়ের তেমন পরিবর্তন হয় না। জলাশয় প্রায় জলাশয়ই থাকিয়া যায়, অথবা তাহার শুদ্ধ খাত প্রাচীন মন্ত্রাবাসের সাক্ষ্য দেয়। বারবাজারে জলাশয় قنفغ

  • Ancient geography pp. 501-2.