পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহর-খুলনার ইতিহাস । 8"למי ংখ্য, লোকের মুখে প্রবাদ এই, তথায় ৬ বুড়ি ৬টা পুকুর অর্থাৎ ১২৬টি পুকুর আছে। ইহার অধিকাংশই দীর্ঘিক বা দীঘি। কোনটি হিন্দুর কীৰ্ত্তি উত্তর দক্ষিণে দীর্ঘ, কোনটি মুসলমানের কীৰ্ত্তি পূৰ্ব্ব পশ্চিমে দীর্ঘ। কোন কোন মুসলমান উত্তর দক্ষিণে দীর্ঘ পুষ্করিণী খনন করিয়াছেন, কিন্তু কোন হিন্দু পূৰ্ব্ব পশ্চিমে দীর্ঘ জলাশয় খনন করেন না বা তাহার জল খান না । বারবাজারের অনেক পুকুরে এখনও বারমাস জল থাকে ; এখানে জলকষ্ট নাই। আমরা কতকগুলি দীঘির নাম করিতেছি ; রাজমাতা দীঘি, সওদাগর দীঘি, পীর পুকুর, মীরের পুকুর, ঘোড়ামারি পুকুর, গোড়ার পুকুর, চেরাগদানি দীঘি, গলাকাটির দীঘি, ভাই বোন পুকুর, মনোহর পুকুর, সের্থের পুকুর, কচুয়া, লোহাশলা, উভগাড়, মিঠা পুকুর, নুনগোল,খোনকার দীঘি, কানাই দীঘি, সাতপুকুর—এইগুলি রাস্তার পশ্চিম পারে এবং রাস্তার পূর্ব পারে বাদে ডিহি অংশে পাঁচ পীরের দীঘি, ছাতারে দীঘি, আলো খী দীঘি, হাস পুকুর, বিশ্বাসের দীঘি, শ্রীরাম রাজার দীঘি (৫৫০ × ৩৫০ ; উত্তর দক্ষিণে দীর্ঘ, পুৰ্ব্ব ও দক্ষিণ পারে বাধা ঘাটের ভগ্নাবশেষ, বারমাস সুন্দর জল থাকে, অতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, পাহাড় এখনও ১০১২ ফুট উচ্চ ) এবং বেড়দীঘি অর্থাৎ শ্রীরাম রাজার বাড়ীর চতুঃপাশ্ববর্তী গড়খাই বহু বিস্তৃত এবং পদ্মমণ্ডিত হইয় অপূৰ্ব্ব শোভা বিস্তার করিতেছে । ইহা ব্যতীত ফেন ঢাল, চাউল ধোয়, পিঠেগড়া, ডাইল ঢাল, কোদাল ধোয় প্রভৃতি চিরপরিচিত ছোট বড় অসংখ্য পুকুরের অভাব নাই। খুব কাছে কাছে এত জলাশয় কোথায়ও দেখি নাই। এতগুলি দীঘি ও পুষ্করিণী যে প্রাচীনত্বের প্রধান সাক্ষী হইতে পারে, তদ্বিষয়ে দ্বিমত নাই। তৃতীয়ত: বারবাজারের ৩৪ মাইল বিস্তৃত স্থান ইষ্টকস্তুপে পরিপূর্ণ। পশ্চিম দিকে কতকগুলি ১০।১২ হইতে ১৫১৬ ফুট উচ্চ প্রকাও ভগ্নস্তুপ রহিয়াছে উহার কোন একটি অশোকের স্তুপ হওয়া বিচিত্র নহে। লোহাশল নামে একটি পুকুর আছে, উহার সন্নিকটে কোন লৌহস্তম্ভ থাকিতেও পারে। হয় ত স্তম্ভের চতুঃপার্শ্ব খনন করিয়া তাহাকে এই পুষ্করিণীতে বিসর্জন দেওয়া হইয়াছিল। কোথায়ও উচ্চ ঢিবি, কোথায়ও অট্টালিকার ভগ্নচিহ্ন, প্রাচীরের ভগ্নাবশেষ এবং প্রস্তর স্তম্ভাদি ও সর্বত্র বিস্তৃত ইষ্টকখণ্ড বারবাজারকে হিন্দু বৌদ্ধ ও মুসলমানের মহাশ্মশানে পরিণত করিয়া রাখিয়াছে। যেখানে খনন করা যায়,