পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 e o যশোহর-খুলনার ইতিহাস । স্তম্ভের পাদপীঠ হইতে পারে। পাথরখানি গয়ার পাথরের মত কৃষ্ণবর্ণ। অন্ত পাথরখানি একটি প্রস্তরনিৰ্ম্মিত কুমীরের নিয়াদ্ধের একাংশ বা সম্মুখ ভাগ । ইহা ৫-৬ × ১-৫ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ১ ফুট হইবে। কুমীরটি যখন সম্পূর্ণ ছিল তখন তাহার পরিমাণ আনুমানিক ১৫ × ১ – ৫ এবং উচ্চতা প্রায় ২ ফুট ছিল। ইহা কোন সিড়ির পাশ্বে বা তোরণ প্রাচীরের উপরিভাগে বসান থাকিতে পারে। সে বাড়ী কি প্রকাও রাজার বাড়ী ছিল, তাহা ইহা হইতে সহজে অনুমান করা যায়। এই রাজবাটীর সম্মুখে অর্থাৎ দক্ষিণে নদী ও অন্ত তিন দিকে গড়খাই ছিল, তাহার খাতের চিহ্ন আছে । ভরতের দেউলের অৰ্দ্ধ মাইল মাত্র দক্ষিণে কাশিমপুর গ্রামে ডালিঝাড় বলিয়া একট স্থান আছে। ইহাও একটি ভগ্ন স্তুপ। এখানে ভরতরাজার কোন প্রধান কৰ্ম্মচারীর বাড়ী থাকিতে পারে। চুকনগরের দক্ষিণ পূৰ্ব্বে ভদ্রনদীর ধারে বরাতিয়া কাটালতলার হাটের সন্নিকটে মঠবাড়ী গ্রামে একটি মঠ এক্ষণে বসিয়া গিয়াছে, ঐ মঠ বৌদ্ধ আমলের কারুকার্য্যমণ্ডিত ইষ্টকে গ্রথিত ছিল। মঠবাড়ী নামেও বৌদ্ধ মঠের কথা স্মরণ করাইয়া দিতেছে। ভরতভায়নার একাংশকে আগরহাট বলে। এখানে বহু সংখ্যক কপালী জাতীয় লোকের বাস। ইহার এদেশে এক নূতন জাতি। ইহারা পূৰ্ব্বকালে কাশ্মীর হইতে এদেশে আসিয়াছিল বলিয়া জানা যায়। বল্লালসেন সুবর্ণবণিকের মত ইহাদের উপরও ক্রুদ্ধ হইয় ইহাদের জল অনাচরণীয় করিয়া দেন। ইহারা নিশ্চয়ই পূৰ্ব্বে বৌদ্ধ ছিলেন। এখন তাহার নিদর্শন আছে । ইহার কৃষিব্যবসায়ী ও ধৰ্ম্মমতে বৈষ্ণব । শাক্ত যে কতকাংশ না আছে, তাহী নহে ; তবে সংখ্যায় কম। ইহার কাহারও দাসত্ব করে না । ইহাদের গুরু পুরোহিত সকলই স্বতন্ত্র । নিকটবৰ্ত্তী ১৪১৫টি গ্রামে কপালীর বাস। এই সকল বিষয় বিবেচনা করিলে মনে হয়, ভরতভায়নায় একটি বৌদ্ধ সংঘারাম ছিল। নিকটবৰ্ত্তা বহুসংখ্যক গ্রামে এই সংঘারামের সংশ্লিষ্টভাবে বহু বৌদ্ধের বাস ছিল । তাহারা সকলেই এখন হিন্দু বলির পরিচয় দেয়। ভরতরাজ ছিলেন এই সংঘারামের একজন প্রধান পৃষ্ঠপোষক। র্তাহার রাজকীয় ব্যয়ে বহু বৌদ্ধ শ্রমণ সংসারত্যাগী হইয়া এই সংঘারামে আদর্শ জীবন క్టే --