পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

さ〉b" যশোহর-খুলনার ইতিহাস। ক্রমে ক্রমে মিথিলী, বঙ্গ, রাঢ়, বরেন্দ্র ও বাগড়ী জয় করেন, এই পঞ্চরাজ্যে রীতিমত প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচন করিয়া সুশাসন প্রবর্তিত করেন। সৰ্ব্বত্রই তাহার সবল শাসনে সুফল ফলিয়াছিল। দেশে দস্থাছৰ্বত্তের উৎপত্তি ছিল না। এই সময়ে সমতটেরই নাম বাগড়ী হইয়াছিল। যশোহর-খুলনা এই বাগড়ী রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হইয়া বুল্লালের শাসনাধীন ছিল। বল্লাল সেন শুধু রাজনৈতিক শাসক মাত্র ছিলেন না। দেশের সমাজ ও ধৰ্ম্মের উপরও র্তাহার সর্বময় ক্ষমতা ছিল। তিনি ব্রাহ্মণ, বৈদ্য, কায়স্থ প্রভৃতি জাতির মধ্যে গুণানুসারে কৌলীন্ত মৰ্য্যদা স্থাপন করেন। এই কুলীনগণ ক্রমশঃ তাহার রাজ্য মধ্যে, সৰ্ব্বত্র বসতি স্থাপন করিয়াছিলেন। এ সময় ব্রাহ্মণ্য প্রতিপত্তি পুনরায় জাগিয়াছিল, তাহার ফলে হিন্দু তান্ত্রিকতার আবির্ভাব হওয়ায় বিকৃত বৌদ্ধমতের বিলোপ হইতেছিল ; তিনি নিজে তান্ত্রিক হিন্দু হইয়া বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রচারের উপর নানা অত্যাচার করিয়াছিলেন। তিনি রুষ্ট হইয়া সুবর্ণবণিকৃ ও যোগী প্রভৃতি বৌদ্ধ জাতিকে অধঃপতিত ও নিৰ্য্যাতিত করেন। বল্লালের মৃত্যুর পর তাহার এই সৰ্ব্বতোমুখ শাসনের ভার তৎপুত্ৰ লক্ষ্মণ সেনের উপর নিপতিত হয়। লক্ষ্মণ সেন পূৰ্ব্বহইতেই পূৰ্ব্ববঙ্গে রাজপ্রতিনিধিস্বরূপ শাসনকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতেছিলেন । বল্লালসেন এক নীচ জাতীয় স্ত্রীর রূপে মুগ্ধ হইয় তাহাকে পত্নীরূপে গ্রহণ করেন । তজ্জন্ত লক্ষ্মণ সেন পিতার উপর অত্যন্ত বিরক্ত হন। তিনি মাতার দ্বারা উদ্রিক্ত হইয়া পিতার ঐ সমাজবিরুদ্ধ কার্য্যের তীব্র প্রতিবাদ করিলে, বল্লাল সেন সেই দুষ্ট রমণীর কুমন্ত্রণায় পুত্রকে নিৰ্ব্বসিত করেন। ইহার পর কিছু কাল অতীত হইল। এমন সময়ে বর্ষাকালে একদিন বল্লাল আহার সময়ে অনরে গিয়া দেখিতে পাইলেন যে র্তাহার ভোজনগৃহের প্রাচীরে কে যেন একটি শ্লোক লিখিয়া রাখিয়াছে – পুনি সন বাণ ইন্দ্র শর খোএ বাকি বাত্রে লসং বিলেtএ ॥” অর্থাৎ সনের অঙ্কের সহিত ৫১৫ যোগ দিলে শকাবা এবং সমৃ হইতে ৫১৫ বাদ দিলে গলং, হয়। এতদনুসারে ১১০৮ খৃষ্টাব্দে লগং আরম্ভ হয়। (ভারতী, ১৩১৭, চৈত্র ) । এই শ্লোকে “ইন্দ্র” শব্দটি "দন্থ হইবে কি না সন্দেহ স্থল।