পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২০ যশোহর-খুলনার ইতিহাস । মাঝির নাম মহেশ ছিল এবং তজ্জন্ত তাহার বাসস্থানের নাম মহেশপুর হয়, এই নির্দেশ করেন। কিন্তু প্রচলিত প্রবাদে তাহার সুর্য্যমাঝি নামই রক্ষা করিয়াছে ; মহেশ নামে তাহার কোন পুত্র থাকিতে পারে। প্রবাদ আছে বল্লালসেন তাহার জামাত হরি সেনকে যৌতুকস্বরূপ (বর্তমান খুলনা জেলার অন্তর্গত) সেনহাটি গ্রাম দান করিয়াছিলেন। তখন বাগড়ীর অন্তর্গত সেনহাটি জঙ্গলাবৃত ছিল। লক্ষ্মণসেনের সময়ে এখানে রীতি মত নগর স্থাপিত হয়। বর্তমান সময়ে সেনহাটি গ্রাম বোধ হয় বঙ্গদেশের মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বৈদ্যপ্রধান স্থান। বল্লালের মৃত্যুকালে লক্ষ্মণ সেন উপস্থিত ছিলেন না। পিতার সহিত তাহার অসদ্ভাব শেষ পর্যন্ত চলিয়াছিল। তিনি স্বীয় জ্যেষ্ঠপুত্ৰ মধু বা মাধব সেনকে পিতার মৃত্যুকালে তৎসমীপে প্রেরণ করিয়াছিলেন। বল্লাল স্বরাজ্য ৰালক মধুসেনকে দিয়া যান। তাহার মৃত্যুর পর লক্ষ্মণ আসিয়া রাজদও গ্রহণ করেন । সেন-রাজগণের মধ্যে তিনি সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রতাপশালী ও সুবিখ্যাত ছিলেন। বাখরগঞ্জের অন্তর্গত ইদিলপুরে প্রাপ্ত তাম্রশাসন হইতে জানা যায়, ৬ লক্ষ্মণসেন দক্ষিণ সমুদ্রের কুলে শ্ৰীক্ষেত্রে, বারাণসীতে বিশ্বেশ্বরস্থানে এবং গঙ্গা-যমুনা সঙ্গমে ত্রিবেণীতে সমরজয়স্তম্ভমালা’ স্থাপন করিয়াছিলেন। মাধাই নগরের তাম্রশাসন হইতে জানা যায় তিনি কাশীরাজকে যুদ্ধে পরাজিত করিয়াছিলেন। পিতার রাজত্বকালে যুবরাজ লক্ষ্মণসেন তাহার নানা অভি. যানের সহায়ক ছিলেন ; বল্লাল যে কলিঙ্গ বিজয় করিয়াছিলেন বলিয়া উল্লিখিত আছে, তাহ। লক্ষ্মণসেনের বাহুবলেই সম্পাদিত হইয়াছিল। সুতরাং দেখা যাইতেছে লক্ষ্মণসেন বীরদৰ্পে বহিঃশত্রুর আক্রমণ হইতে দেশ রক্ষা করিয়াছিলেন। কিন্তু দেশের মধ্যে তেমন শৃঙ্খলা স্থাপন করিতে পারিয়াছিলেন কিনা সন্দেহস্থল। কারণ, তাহ হইলে তাহার রাজত্ব হিন্দুরাজত্বের শেষ রাজত্ব হইত না । লক্ষ্মণসেন পরম পণ্ডিত, নানাশাস্ত্রবিৎ, স্বকবি ও একান্ত বিস্তোৎসাহী এবং দানে কল্পতরু ছিলেন। র্তাহার রাজত্বের শেষভাগে তিনি শস্ত্রচর্চা

  • J. A. S. B. 1896, part 1, plate I, line 18-19 and p. II się wtarta DDBB BB DD BBBB BBBBB BB BBBS BB BBBBB BBBBBB DDD ইহাকে কেশব সেলের দানপত্র বলিয়৷ সপ্রমাণ করিন্থে চাম।