পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেন রাজত্ব &s3 অপেক্ষ শাস্ত্রচর্চাতেই অধিকতর মনোযোগী হইয়াছিলেন। র্তাহার রাজসজ্ঞ পণ্ডিতপরিষদে পরিবর্তিত হইয়াছিল; সে পঞ্চরত্নপরিষদ অলঙ্কত করিয়া ছিলেন —“গীতগোবিন্দ”রচয়িত জয়দেব, “পবনদূত”প্রণেতা কবিরাজ ধোয়ী, আসাধারণ কবি শরণ, মহামন্ত্রী উমাপতিধর, আর “আৰ্য্যাসপ্তশতী”র গ্রন্থকার গোবৰ্দ্ধন। সেনরাজগণের সঙ্গে সঙ্গেই বোপদেবকৃত মুগ্ধবোধ ব্যাকরণ দক্ষিণাপথ হইতে বঙ্গ দেশে আসে এবং তাহাদের অবসানের পরেও বঙ্গের অনেক প্রদেশে রাজত্ব করিতেছে। কিন্তু তবুও তখন পাণিনির অনাদর ছিল না । এবং উহার সাহায্যে বৈদিক শাস্ত্রচর্চার পথ সুগম করিবার জন্য লক্ষ্মণসেনের আদেশে পুরুষোত্তমের “ভাষাবৃত্তি” রচিত হয়। লক্ষ্মণসেনের প্রাড় বিবাক বা প্রধান বিচারমতি হলাযুদ্ধ বৈদিক ক্রিয়াকাণ্ডের প্রচলন জন্য “ব্রাহ্মণসৰ্ব্বস্ব” রচনা করেন। মহারাজ লক্ষ্মণ নিজেও সুকবি ছিলেন, তৎপ্রণীত অনেক শ্লোক তাহার মৃত্যুর পর শ্ৰীধরদাস কর্তৃক “সদুক্তিকর্ণামৃতে” সংগৃহীত হয়। আরও কত কবি ও পণ্ডিত যে লক্ষ্মণসেনের রাজসভার শোভাবৰ্দ্ধন করিতেন, তাহার ইতিহাস নাই। মহাকবি জয়দেবের “মধুর কোমলকান্ত পদাবলী” বঙ্গদেশে সেই তান্ত্ৰিকযুগে যে এক অপূৰ্ব্ব প্রেমোন্মাদের উন্মেষ করিয়া দিয়াছিল, তাহাই হইয়াছিল চৈতন্য যুগের ধৰ্ম্মস্রোতের প্রবর্তক। এই বিদ্যাচর্চার প্রভাব সমগ্র বঙ্গে বিস্তৃত হইয়াছিল। শুধু বিদ্যাচর্চা নহে, ধৰ্ম্ম ও সমাজসংস্কারও সেনরাজগণের প্রধান কৰ্ত্তব্য হইয়াছিল। বল্লালসেন সমাজের দুরবস্থা অপনয়নজন্ত ব্রাহ্মণ, কায়স্থ ও বৈদ্যদিগের কৌলীন্ত-মৰ্য্যাদা সংস্থাপন করেন ; লক্ষ্মণসেনের সময়ে তাহার বিশেষ ব্যবস্থা ও উৎকর্ষ সাধিত হয়। আমরা পরে তাহার বিশেষ বিবরণ দিব। এ কৌলীন্যজন্ত সমাজমধ্যে মহা আন্দোলন হয় এবং রাজ্য মধ্যে সৰ্ব্বত্র কুলীনদিগের বসতি স্থাপন জন্য দেশের অবস্থারও পরিবর্তন সাধিত হয়। বল্লালের পূর্ব পর্যন্ত বৌদ্ধমতই দেশের মধ্যে প্রধান ধৰ্ম্ম ছিল। বল্লাল সেনও প্রথমে এই মতের পক্ষপাতী ছিলেন। পরে তিনিও তান্ত্রিক হিন্দু ধৰ্ম্মে গোবৰ্ধনশ্চ শৱণে জয়দেৰ উমাপতি: কৰিরাজশ্চ রত্নানি পঞ্চৈত্তে লক্ষণগু চ । झ*मनांऊन जश्वन ¢नएनब्र नङांध७८°ब्र चांदइ ५३ cमांक ४९डौ{cप्रविब्रांश्णिन ।