পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२8 যশোহর-খুলনার ইতিহাস। মণ্ডল অতি প্রাচীন হিন্দু শব্দ। ভাগবতাদি পুরাণেও মণ্ডলের কথা আছে। মুসলমান যুগ হইতে মহল বা জেলা শব্দ এই একই অর্থে ব্যবহৃত হইতেছে। প্রত্যেক জেলায় যেমন এক্ষণে কতকগুলি করিয়া সব ডিভিসন বা উপবিভাগ আছে, সেনরাজত্বে মণ্ডলসমূহও সেইরূপ কতকগুলি বিষয়’ বা শাসনে বিভক্ত ছিল। এখনও বিষয় কথা চলিয়া আসিতেছে, ক্ষুদ্র জমিদার বা তালুকদার প্রভৃতি বিষয়ী’-লোকে বিষয় কার্য দেখে এবং বিষয় রক্ষা করে। দেশে কুশাসন থাকিলেও এখন আর “শাসন” কথার পূর্ব অর্থ নাই, ব্ৰহ্মশাসন প্রভৃতি গ্রামের নাম পূৰ্ব্ব শাসনের চিহ্ন রাখিয়াছে। বল্লাল সেনের ৫টি খণ্ড রাজ্য বা ভুক্তির জন্ত পাচটি প্রাদেশিক রাজধানী ছিল। বঙ্গের রাজধানী ছিল, বিক্রমপুরের অন্তর্গত রামপালে। লক্ষ্মণ সেনের সময়ে তৎপুত্র বিশ্বরূপ এই স্থানে থাকিয়া প্রতিনিধিস্বরূপ বঙ্গ শাসন করিতেন। বল্লালের সময়ে বরেন্দ্রের রাজধানী ছিল, পৌণ্ডবৰ্দ্দনে। প্রকাগু দীঘিকা, দুর্গপরিখা ও ইষ্টকস্তুপ ঐ স্থানের প্রাচীনত্বের সাক্ষী আছে। লক্ষ্মণসেন রাজ হইয়া পৌণ্ডবৰ্দ্ধনের কিছুদূর দক্ষিণে গঙ্গার সন্নিকটে সুরম্য লক্ষ্মণাবতী নগরী নিৰ্ম্মাণ করেন। মুসলমানেরা উহাকেই লক্ষ্মেীতি বা গৌড় বলিতেন। রাঢ়ের রাজধানী ছিল সম্ভবতঃ বীরভূমের অন্তর্গত লক্ষ্মেীর নামক স্থানে। বঙ্গবিজয়ের পর পাঠানের এই স্থানে আড়া করিয়াছিলেন। লক্ষেীরে মুদ্রিত পাঠান আমলের মুদ্রা পাওয়া গিয়াছে। মিথিলার রাজপাট কোথায় ছিল জানা যায় না। হয়ত লক্ষ্মণসেন ইহার শাসন কেন্দ্রের জন্ত বৰ্ত্তমান পূর্ণিয়া জেলার মধ্যে রামাবতী নগরী নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। “সেকশুভোদয়” গ্রন্থে লিখিত আছে ঃ—“পুরী রামাবর্তী যত্র ভুবি বিখ্যাতনামিক” । । কিন্তু বাগড়ীর শাসনকেন্দ্র কোথায় ছিল ? নবদ্বীপে সেনরাজগণের কোন রাজনৈতিক শাসনকেন্দ্র ছিল না। বল্লাল সেন বৃদ্ধ বয়সে এই স্থানে গঙ্গাবাসের আবাস স্থির করিয়াছিলেন। কুলকারিকা হইতে জানা যায় ঃ– “মুক্তিহেতু বল্লাল আসিল গঙ্গা স্নান জহ নগরোত্তরে করে যে বাসস্থান।” নবদ্বীপে যেখানে বল্লাল নগর প্রতিষ্ঠিত হয়, এখনও যেখানে বল্লাল দীঘি

  • সাহিত্য ۹ د ,د هه د १. বাঙ্গালায় পুরাবৃত্ত, ২৪৪ খৃঃ ।