পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেন রাজত্ব । । ૨૨6 ও প্রকাগু ভগ্নস্তুপ পূৰ্ব্ব পরিচয় প্রদান করিতেছে, তাহা এক সময়ে তিন দিকে ভাগীরথী দ্বার বেষ্টিত একটি সুন্দর দ্বীপ এবং তীর্থস্থান ছিল। ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণ বৃদ্ধ নৃপতির সহচর হইয়া এখানে আসিয়া নানা স্থানে বাস করিতেছিলেন। ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের আগমনে এইস্থান একটি প্রসিদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র হইয়া পড়িয়াছিল ৷ লক্ষ্মণসেনের সময়েও এখানে রাজধানী ছিল না, দুর্গ বা সৈন্তাবাস ছিল না। সুতরাং ইহাকে আমরা প্রাদেশিক রাজধানী বলিতে পারি না । কিন্তু কানন-কুন্তলা বাগড়ী ভূমি নানা দুৰ্ব্বত্ত জাতির বসতি হেতু দুৰ্দ্ধমনীয় ছিল। সেখানে নিশ্চয়ই কোন ও শাসন-কেন্দ্র ছিল । তাঙ্গ কোথায় ? আমরা এই প্রশ্নের উত্তরস্বরূপ একটি অনুমান উপস্থিত করিতেছি। বহুদিন ভ্রমণ ও চিন্তার পর এই অনুমান সমীচীন বলিয়া মনে করিয়াছি ; এজন্য অসঙ্কুচিত ভাবে ইহা সাধারণের সমক্ষে প্রকাশিত করিলাম। হয়ত ইহা অনুমান মাত্র। কিন্তু যে ঘটনা পরম্পরার সমাবেশে এই দিকে চিন্তা প্রবাহ সমাকৃষ্ট করিয়াছে, পাঠকের অবিশ্বাসের পূৰ্ব্বে তাহ বিশেষভাবে বিবেচিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। যশোহর জেলায় নড়াইল সবডিভিসনের মধ্যে, সিঙ্গিয় রেলওয়ে ষ্টেশনের সন্নিকটে সেথহাটি বলিয়া একটি গ্রাম আছে। ইহার নিম্নদিয়া এক্ষণে ভৈরব প্রবাহিত, অপর পারে জগন্নাথপুর গ্রাম। পূৰ্ব্বে ভৈরব জগন্নাথপুরের দক্ষিণ দিয়া প্রবাহিত হইত এবং তথন জগন্নাথপুর ও সেখস্থাটি একপারে পরস্পর সংলগ্ন ছিল । ভৈরব ক্রমান্বয়ে দক্ষিণ হইতে উত্তরের দিকে গতি পরিবর্তন করিয়াছে ; ভৈরবের সে প্রাচীন খাতগুলি জগন্নাথপুর গ্রামে এখনও বিদ্যামান আছে। এই জগন্নাথপুর সেথহাটিতে পূৰ্ব্বে কোন প্রাদেশিক রাজধানী ছিল বলিয়া মনে করি । স্থানের অবস্থান এ অনুমানের প্রথম কারণ এক্ষণে নদী নানা ভাবে প্রবাহিত হইয়া স্থানটিকে নানা থণ্ডে বিভক্ত করিয়াছে বটে, কিন্তু পূৰ্ব্বকালে এখানে একটি প্রকাও নগরী ছিল। বৰ্ত্তমান সময়ে চারিটি গ্রাম এই বিস্তীর্ণ নগরীর চারি অংশ নির্দেশ করিতেছে। উত্তর দিকে বহির্ভাগ (বর্তমান নাম বাহির ভাগ), পূৰ্ব্বদিকে দেবভাগ (বর্তমান নামও তাহাই ), দক্ষিণদিকে তপোবন ভাগ বা তৰ্পণভাগ * (বর্তমান নাম তপন ভাগ ) এবং পশ্চিম দিকে * দিনাজপুর তপণদীঘিতে লক্ষ্মণসেনের রাজত্বের সপ্তম্ব বধে প্রদত্ত দানপত্রের এক তাম্র ২৯