পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেন রাজত্ব। २२१ বিজয় বাহিনী এই পথে গিয়াছিল এবং তিনি এখানে কোন মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন ; অথবা তাহার পুত্র বল্লাল বাগড়ীর শাসনদণ্ড গ্রহণ করিয়া এইস্থানে যে রাজধানী প্রস্তুত করেন তাহাতে কোন দেবমন্দিরের দ্বারা পিতৃনাম স্মরণীর করিয়া রাখিয়াছিলেন। তৃতীয়তঃ হিন্দু বৌদ্ধের কোন প্রধান কীৰ্ত্তিস্থান দেখিলেই সেখানে মুসলমানগণ প্রথম অধিবেশন করিয়াছিলেন। জগন্নাথপুর প্রভৃতি সেইরূপ স্থান । পাঠানদিগের পত্তনে এখানকার অনেক লোক মুসলমান হর, এবং অধিকাংশ স্থান ত্যাগ করে। এখন জগন্নাথপুরে চোঁদ আন মুসলমান। ঐ গ্রামের একাংশ এখনও “পাঠান পাড়া” নামে পরিচিত। ঐ পাঠানদিগের এখনও অনেক “চেরাকী” জমি আছে। সেখপাড়া, সিঙ্গিয় মুসলমানে পূর্ণ। এখন সকল স্থানে অনেক মুসলমান আছেন, যাহাদের ২৩ পুরুষ পুৰ্ব্বে আচার ব্যবহার হিন্দুর মত ছিল। চতুর্থত, এইস্থানে যে সকল দেববিগ্রহ বা দেবালয়ের চিহ্ন পাওয়া গিয়াছে, তাহাতেও অনেকটা সেনরাজগণের সময় নির্দেশ করে। সেখহাটি গ্রামে কামার পাড়ার উত্তরে দুদকণ্ঠনামক পুষ্করিণীতে একটি বড় গণেশমূৰ্ত্তি পাওয়া যায়। উহার নিকটে বারুইদিগের একটি পুষ্করিণীতে একটি বাসুদেব ও একটি গণেশমূৰ্ত্তি পাওয়া যায়। এই দুইটি গণেশ ও একটি বামুদেব মূৰ্ত্তি এই স্থানের জমিদার নড়াইলবাবুদিগের বাটতে নীত হর। ঐ তিনটি মূৰ্ত্তিই এক্ষণে ৮রাজকুমার রায় জমিদার মহোদয়ের বৈঠকখানার প্রাচীরে গ্রথিত রচিয়াছে। দুদকণ্ঠ পুকুরের সন্নিকটে একটি স্থানকে মঠবাড়ী বলে, এখানে অনেক ইষ্ঠকস্তুপ আছে। গ্রামের মধ্যে কয়েক স্থানে গভীর পরিখার পাত বৰ্ত্তমান রহিয়াছে। সম্ভবতঃ একটি বাহিরের গড়খাই এক সময়ে আফরার খালে পরিণত করা হইয়াছিল। সেখহাটিতে অন্য একটি পুকুর কাটিতে একটি প্রকাও ভুবনেশ্বরী মূৰ্ত্তি পাওয়া যায় ; প্রতাপাদিত্যের অন্যতম সেনাপতি কালিদাস রায় এখানে বসতিস্থাপন করিবার সময়ে উক্ত ভুবনেশ্বরী ত্তির সেবার ব্যবস্থা করেন। ঐ ভুবনেশ্বরী মন্দিরে একখানি চতুভূজ বামদেব মূৰ্ত্তি আছে, তাহাও ঐ ভাবে ভূগর্ভে প্রাপ্ত। এমূৰ্ত্তিটি ২—৫^x ১-৩ ইঞ্চি পরিমিত । এই গ্রামে ৮কালাচাদ পণ্ডিত তাছার বাটীর নিকটে