পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኟ¢b” যশোহর-খুলনার ইতিহাস। বলিয়া মানিয়া লয় নাই। পরবর্তী যুগে যেমন তাহারা হিন্দুর সহিত মিলিয়৷ মিশিয়া ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তি বা জনহিতৈষণার বিনিময়ে শান্তিমুখ লাভ করিত বা শিল্পসুষমায় বঙ্গভূমিকে শোভাময়ী করিয়াছিল, সেদিন এখনও আসে নাই। পরের দেশে আসিয়া এখন প্রথম কাৰ্য্য আত্মরক্ষা এবং তৎপরে অর্থসংগ্রহ বা রাজ্যবিস্তারের নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা। তাহাতে আবার প্রতিবন্ধক পদে পদে। যুদ্ধে জয়লাভ করিয়া, পুৰ্ব্বতন রাজাকে রাজ্যভ্রষ্ট করিয়াও রাজ্য জয় হয় নাই। প্রজায় মানে না, তুর্ক সেনানীকে যেখানে সেখানে বিড়ম্বিত করে, উদ্রিক্ত হইয় সবলে আক্রমণ করিতে আসিলে, প্রজারা ঘর বাড়ী ছাড়িয়া পলায় ; প্রাণ দেয়, তবুও ধৰ্ম্ম দিতে চায় না ; অর্থভাণ্ডার মাটীর তলে পুতিয়া বা জলাশয়ে নিক্ষেপ করিয়া যায়, তবু তদ্বারা নবাগত শাসকের সম্মান রক্ষা করে না। এ বড় বিষম দায়। দেশ জয় করিয়াও যদি দেশের রাজস্ব করগন্ত না হয়, তাহাতে ভীষণ বিরক্তি ও অন্ধত আসে। পাঠানদিগেরও তাঁহাই আসিয়াছিল। অন্য ধৰ্ম্মাবলম্বীর পক্ষে স্বর্গের রাস্তা বন্ধ, ইহাই ইসলাম বা খৃষ্টধর্মের মূল স্বত্র। যাহার খাটি মুসলমান বা খৃষ্টান তাহারা দৃঢ়রপে এমতে বিশ্বাসবান। সুতরাং অন্য কোন কারণে না হউক, পরহিতরতির জন্য স্বকীয় ধৰ্ম্মমত প্রচার করা তাহার কৰ্ত্তব্য মনে করেন। মুসলমানদিগের মধ্যে যে কোন উপায়ে এই কৰ্ত্তব্য পালন করার প্রথা চলিয়া আসিতেছিল এবং তাহ হইতেই অসির সাহায্যে ধৰ্ম্মমত প্রচারের কথা উঠিয়াছে। অন্য দেশে সে ভাবে ধৰ্ম্মমত প্রচারিত হউক বা না হউক, পাঠান-আমলে বঙ্গদেশে যে হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। কারণ এখানে উপায়ান্তর ছিল না। হিন্দুর মত স্থিতিশীল বা পরিবর্তনের বিরোধী জাতি জগতে নাই। সে জাতির দর্শনশাস্ত্র এত উন্নত যে কথার বশে তাহাদিগকে বশীভূত করা একেবারে অসম্ভব। অথচ তাহদের ধৰ্ম্মাচার মুসলমান হইতে এত ভিন্ন, এত বিরুদ্ধ যে হিন্দুরা আচারে ব্যবহারে হিন্দু থাকিলে, তাহাদিগের নিকট হইতে পাঠানের কোন প্রকার সহানুভূতি প্রত্যাশা করিতে পারিত না । সুতরাং হিন্দু বৌদ্ধকে মুসলমান করিয়া লওয়াই ধৰ্ম্ম বা রাজনীতি সব দিক্ হইতেই পাঠানের সাধনা হইয়াছিল। ইহার জন্ত তাহার হিন্দু বৌদ্ধের উপর অমানুষিক অত্যাচার করিয়াছিল। ফলে এই দাড়াইয়াছিল যে এদেশের বহুসংখ্যক লোক মুসলমান-ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিল। তজ্জন্তই জঞ্জি