পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७e याशाश्ङ्ग-भूल्नांब्र हेडिशंग। অর্থ পাওয়া যাইত, তেমনই এক সময়ে অসংখ্য লোককে মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণে বাধ্য করা যাইত। এইরূপ একটি বিহার ধ্বংসের কথা মীনহাজুদ্দীন স্পষ্ট ভাষায় লিখিয়া গিয়াছেন। বঙ্গে আগমনের পূর্ববৎসর মহম্মদ থিলিজী মগধে ওদন্তপুরী নামক স্থানে বহুদূর বিস্তৃত প্রাচীর ও পরিখা-পরিবেষ্টিত প্রাসাদমালা দেখিয়া উহাকে রাজধানী কল্পনা করিয়া আক্রমণ করেন। সে প্রাসাদের অধিবাসিগণ দ্বার বদ্ধ করিয়া কিছুকাল আত্মরক্ষা করে। কিন্তু পাঠান বীরের নিকট অব্যাহতি পাইল না। মহম্মদ বক্তিয়ার পশ্চাদ্ভাগ হইতে বীরবিক্রমে । প্রবেশ করিয়া অল্প সময়ে অসংখ্য লোকের হত্যাসাধন করিয়া অপরিমিত ধনরত্ব লুণ্ঠন করিলেন। সে স্থানের অধিবাসীর অধিকাংশই মুণ্ডিতশীর্ষ ব্রাহ্মণ এবং তাহারা সকলেই নিহত হইয়াছিল। সেখানে রাশি রাশি পুস্তক ছিল ; সে সকল পুস্তক কি বিষয়ক তাহ জানিবার জন্য হিন্দুদিগের সন্ধান করা হইল, কিন্তু সে হতভাগাদিগের প্রায় সবই মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছিল। অবশেষে মুসলমান বিজেতা জানিয়া বিস্মিত হইলেন যে সেই দুর্গ বা নগরী কোন রাজধানী নছে, তাহা একটি বিরাট বিদ্যামন্দির বা বৌদ্ধবিহার। ৬ ইহাই মুসলমান ঐতিহাসিকের নিজের কথা। এই ত মাত্র একটি বিহারের কথা, পাঠানের এমন যে কত বৌদ্ধ মঠ ও সংঘারামের ধ্বংস সাধন করিয়াছিল, তাহার সংখ্যা নাই। যাহার ব্রাহ্মণ ও রাজসৈন্তে প্রভেদ বুঝিতে পারে না, বিদ্যামন্দিরকে রাজপ্রাসাদ বলিয়া ভুল করে, অগ্রে রক্তস্রোত বহাইয়া পরে পরিচয় জিজ্ঞাসা করে, আলেকজেক্রিয়ার বিশ্ববিশ্রুত পুস্তকাগারের ধ্বংসকারী মুসলমানের বংশধরগণ ধৰ্ম্মপ্লাবিত মগধবঙ্গে আসিয়া কত স্থানে কত কি ভীষণ অত্যাচার করিয়াছিল, তাহ বলিবার নছে। এই অত্যাচার যে ঐতিহাসিক সত্য, তাহাতে সন্দেহ নাই। তবে ইহা পাঠানদিগের নূতন নহে। রাজ্যজিগীষু জাতি মাত্রেই পররাজ্যের উপর এরূপ অত্যাচার করিয়াছেন। প্রত্যেক দেশের ইতিহাসে সে অত্যাচারকাহিনী আছে। হিন্দু বৌদ্ধে, শাক্ত বৈষ্ণৰে বিবাদস্থত্রেও অত্যাচার কম হয় নাই। কিন্তু এক্ষণে “গতস্তামুশোচনা নাস্তি ।” যতদিন পর্যন্ত পাঠানগণ অস্থিরভাবে কেবলমাত্র অর্থের সন্ধানে ব্যাপৃত ছিল, বদদেশে বাসস্থান স্থির করে নাই, ততনি এইভাবে অত্যাচার চলিছিল।

    • Raverty's Tabaqat-i-Nasiri P. 552.