পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থা জাহান আলী । Styዓ হইয়াছিলেন, সেটি অনুমান মাত্র বলিয়া বোধ হয়। নবরাজ্য পত্তনের কয়েকবর্ঘ মধ্যে পুত্রহীন ব্যক্তি মৃত্যুমুখে পতিত হইলে, তাহার রাজ্য লইয়া ভীষণ রক্তকাও চলিত ; কিন্তু তাহ হয় নাই। ইব্রাহিম এমন দৃঢ় হন্তে শাসনদও পরিচালন করিতেছিলেন, যে তাহার ভয়ে ও কৌশলে গণেশের পুত্র যদুকে মুসলমান হইতে হইয়াছিল এবং যছর বংশধরকে আত্মরক্ষার জন্য তৈমুরলঙ্গের পুত্র সাহরুখের নিকট কৃপাপ্রার্থী হইতে হইয়াছিল। সাহরুখের সহিত বিবাদ করা অনর্থক এবং হয়ত অনিষ্টকর হইতে পারে বলিয়া ইব্রাহিম বঙ্গেশ্বরের বন্দীদিগকে মোচন করেন। এই সুযোগে খাজাহান পূৰ্ব্বদেশে সুন্দরবন অঞ্চলে এক প্রকার স্বাধীন ভাবে দেশ শাসন ও ধৰ্ম্মকার্য্যের অনুষ্ঠান করিতে ছিলেন। যশোহর-খুল্লার “খাপ্পালি পীর’ বা খ জাহান আলি এবং জৌনপুর রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা খাজা জাহান অভিন্ন ব্যক্তি বলিয়া মনে করি। প্রথমতঃ সাধারণ প্রবাদে চলিয়া আদিতেছে, তিনি দিল্লীশ্বর মামুদসাহের সময় জায়গীর পাইয়৷ বঙ্গে আসেন ; কার্যতঃ দেখা যাইতেছে দিল্লীশ্বর মামুদ (তোগলক ) শকী রাজত্বের প্রতিষ্ঠাতা এবং তাহার আমলেই খ জাহান উক্ত শৰ্কী বা পূৰ্ব্ব দেশীয় রাজ্যের অধিপতি হন এবং বঙ্গে আসেন। দ্বিতীয়তঃ ঢাকায় একটি মসজিদের দ্বারদেশে একখানি শিলালিপি হইতে জানা যায়, উক্ত মসজিদ যিনি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন তিনি একজন খাঁ, মামুদ সাহের রাজত্ব কালে তঁহার উপাধি ছিল খাজা জাহান” ; * উক্ত মসজিদের নিৰ্ম্মাণ তারিখ ১৪৫৯ অব্দের ১৩ই জুন। ব্লকম্যান সাহেব অনুমান করেন যে এই খাজা জাহান ও বাগেরহাটের ধা জাহান এক ব্যক্তি। উক্ত লিপি হইতে দেখা যাইতেছে যে, যে খাঁ মামুদ সাহের রাজত্বকালে খাজা জাহান উপাধিধারী ছিলেন, তিনিই ১৪৫৯ খৃষ্টাব্দে ঢাকার মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। সুতরাং শকা শাসক খাজা জাহান ও খাঁ জাহান আলি এক ব্যক্তি। উক্ত মসজিদ বঙ্গেশ্বর নাসির সাহ বা নাসির উদ্দীন মামুদ সাহের (১৪৪২-১৪৬০) সময়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, কিন্তু উক্ত লিপিতে যে মামুদ স হের কথা আছে, তিনি দিল্লীশ্বর মামুদ সাহ (১৩৯৪—১৪১৪) বলিয়াই

  • “A khan whose title is Khaja Jahan in the reign of Mahmud °hah". J. A. S. B., Part I, I872 pp. 107-8. Khulua Gazetteer p. 27.