পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵե যশোহর-খুলনার ইতিহাস । বোধ করি, তাহারই সময়ে খাজা জাহান উপাধি হয়। বিশেষতঃ বঙ্গেশ্বর নাসির সাহ বলিয়াই থাত, মামুদ সাহ বলিয়া তেমন পরিচিত নহেন ; কারণ দিল্লীতে ও বঙ্গে বহু সংখ্যক মামুদ সাহ শাসনদণ্ড পরিচালন করিয়াছেন। তৃতীয়তঃ একটি সন্দেহ হইতে পারে যে খাজা জাহান যখন পালিত পুত্রের হস্তে জৌনপুরের রাজ্যভার দিয়া বঙ্গে আসেন তখন তিনি অবশু প্রবীণ বয়স্ক ছিলেন, সে ১৪০০ খৃষ্টাব্দের কথা ; তাহার সমাধিতে তাহার মৃত্যুর তারিখ আছে, ১৪৫৯ । তাহা হইলে সেই প্রবীণবয়স্ক ব্যক্তি আরও ৫৯ বৎসর কিরূপে বাচিয়াছিলেন ? ইহার ও উত্তর আছে। সবলে রাজ্য প্রতিষ্ঠার ৬ বৎসর পরে খাজা জাহান বঙ্গে আসেন ; তখন র্তাহার বয়স ৪০ বৎসরের অতিরিক্ত হইয়াছিল বলিয়া মনে হয় না ; তখন তাহার পালিত পুত্র ইব্রাহিম ২০২৫ বৎসর বয়স্ক থাকিতে পারেন ; ইব্রাহিম ৪০ বৎসর কাল রাজত্ব করিয়াছিলেন। ইব্রাহিম অধিক বয়স্ক হইলে ৪০ বৎসর রাজত্ব করিতে পারিতেন কি না সন্দেহ। খ্ৰী। জাহান যদি ৪০ বৎসর বয়সে বঙ্গে আসিয়া থাকেন, তবে তৎপরে আর ৫৯ বৎসর অর্থাৎ প্রায় ১০০ বৎসর বাচিয়া থাকা বিচিত্র নহে। খ জাহানের মত সাধু পীরগণ খুব দীর্ঘজীবী হইতেন । সাহ জালাল তাত্রেজী ১৫০ বৎসর জীবিত ছিলেন। খাঁ জাহান যে অতি বৃদ্ধ বয়সে জরাজীর্ণ দুৰ্ব্বল দেহে বিদেশে জীবনলীলা সমাপ্তি করিয়াছিলেন, তাহা তাহার সমাধিলিপির আত্মপরিচয় হইতে জানা যায়।* চতুর্থতঃ তিনি যে বঙ্গে আসিয়া ৫৯ বৎসর ছিলেন, তাহার বিস্তীর্ণ কাৰ্য্যক্ষেত্র ও অসংখ্য পুণ্যকীৰ্ত্তির তুলনায় তাঙ্গ অতিরিক্ত বোধ হয় না । তিনি যে জীবনের অন্ততঃ শেষ দশ বর্ষ কাল মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হইয়াছিলেন, তাহ সহজে বুঝা যায়। তাহার সমাধিমন্দির ও প্রস্তরফলকসমূহ যেরূপ বহু যত্বে দূরদেশ হইতে সংগৃহীত হইয়৷ নানা কারুকার্যরঞ্জিত হইয়াছিল, তাহ সময় সাপেক্ষ বলিয়া বোধ হয়। র্তাহার কোন পুত্র সন্তান ছিল না । তিনি নিজের সমাধির জন্ত যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করিয়া ধীরে ধীরে মৃত্যুমুখে পতিত হন। বাগের হাটে র্তাহার যে সমস্ত কীর্তিচিহ্ন বর্তমান রহিয়াছে, তাহা সম্পন্ন করিতে • Sunder's Antiquities of Bagirhut pp. 8-15.