পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇస్సరి যশোহর-খুলনার ইতিহাস । যিনিই হউন, তিনি যে সুন্দর-বনাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত শাসন কৰ্ত্ত হইয়া এদেশে আসিয়াছিলেন, তাহাতে সন্দেহ নাই। এইরূপ ভার তিনি দিল্লী হইতে পাইয়াছিলেন, বোধ হয় ; কারণ বঙ্গের কৰ্ম্মচারী স্বকীয় কাৰ্য্যস্থান বাগের হাটের নাম খালিফাতাবাদ রাখিতেন না । তিনি নিজে স্বাধীনও ছিলেন না, কারণ তিনি নিজনামে কোন মুদ্রাঙ্কণ করিয়াছেন বলিয়া একাল পর্য্যন্ত জানা যায় নাই। যদি তিনি জৌনপুরের প্রতিষ্ঠাতা খাজা জাহানই হন, তাহ হইলে ইব্রাহিম সাহের মৃত্যুর পর (১৪৪০ ) তাহাকে দিল্লী বা বঙ্গের অধীনতা স্বীকার করিয়া চলিতে হইয়াছিল। জৌনপুরের গৰ্ব্ব ইব্রাহিমের সঙ্গে সঙ্গে অস্তমিত হয়। তখন দিল্লী ও জৌনপুর রাজ্যে দীর্ঘকালব্যাপী ভীষণ যুদ্ধ-বিগ্রহ চলিতেছিল ; এ সময়ে নাসির উদ্দীন মামুদ সাহ বঙ্গের রাজ, (১৪৪২–৬০) তাহার রাজত্ব শান্তিতে নিৰ্ব্বাহ হইতেছিল । এই রাজত্বকালেই খ জাহানের প্রধান প্রধান কীৰ্ত্তি স্থাপিত হয়। খী জাহান সদলবলে প্রথমে বারবাজারে আসিয়া অবস্থান করেন। সম্ভবতঃ বারজন ফকির ধৰ্ম্মপ্রচারার্থ এ প্রদেশে তাহার পূৰ্ব্বেই আসিয়াছিলেন, তাহারাই বারবাজারের নূতন নাম রাখেন। পূৰ্ব্বে এইস্থানের নাম সম্ভবতঃ ছাপাই নগর বা চাম্পাই নগর ছিল । খাঁ জাহান ধাৰ্ম্মিক প্রকৃতির লোক ছিলেন। তিনি আসিলে ফকিরেরা তাহার অনুচরভুক্ত হন। এমন আরও কত অনুচর জুটিয়াছিল। এই সময়ে বার বাজারে কতকগুলি দীঘি ও মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। উহার ভগ্নাবশেষ এখনও আছে। আমরা পূৰ্ব্বে দেখাইয়াছি যে বৌদ্ধপ্রধান স্থান বলিয়াই এস্থানে পাঠানদিগের প্রথম আস্তান হয়। তখন প্রাচীন বৌদ্ধগণ কতক কতক মুসলমান ধৰ্ম্ম পরিগ্রহ করে এবং কতক কতক স্থান ত্যাগ করিয়া দক্ষিণপূৰ্ব্ব মুখে পলায়ন করে। খ জাহান বারবাজারে কয়েক বৎসর অনুচরবর্গ সহ অবস্থান করিয়াছিলেন । বারবাজার হইতে বহির্গত হইয়া খা জাহান ও র্তাহার অনুচরবর্গ প্রথমতঃ যশোহরে উপনীত হন । খ জাহান এখানে অধিষ্ঠান করিয়াছিলেন বলিয়া বোধ হয় না। তবে তাহার সহচর দুইজন সাধু ফকির এখানে স্থায়ী ভাবে থাকিয়া যান। এ সম্বন্ধে একটা গল্প প্রচলিত আছে । থী জাহান তাহার সহযাত্রী গরিবসাহু ও বেরামসাহ নামক দুই ফকিরকে তাহার ৫