পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খ জাহানের কার্য্যকাহিনী । షాఫిన్రి g দরবাবাজ নাম হইয়াছে। এই সারবাবাদেও পাশ্ববৰ্ত্তী মীর্জাপুরে কতকগুলি “স্বপ্রালি” দীঘি আছে। বিদ্যানন্দকাটির দীঘি সম্বন্ধে অনেক অদ্ভূত জনশ্রুতি কুলিয়া আসিতেছে, আমরা এখানে সে সকল অনর্থক গল্পের অবতারণা করিতে চাহি না। তাহার একটি গল্প আছে যে এই দীঘি খনন কালে বাগেরহাটের ঠাকুরদীঘির খননকালের মত একটি যোগী মূৰ্ত্তি বাহির হইয়াছিল; * ঠাকুরদীঘির ধানী বুদ্ধমূৰ্ত্তির মত এখানেও কোন বুদ্ধমূৰ্ত্তি আবিষ্কৃত হওয়া বিচিত্র নহে। বিদ্যানন্দকাটি হইতে খাঁ জাহানের অনুচরবর্গ রাস্তা প্রস্তুত করিতে করিতে সুন্দরবনের গভীর অরণ্যে প্রবেশ করেন। এই রাস্তার চিহ্ন বর্তমান আছে। সম্প্রতি উহা ডিষ্ট্রক্টবোর্ডের রাস্তায় পরিণত হইয়াছে। একটি রাস্ত যশোহর, খানপুর, কেশবপুর, বিদ্যানন্দকাটি ও তথা হইতে মাগুরাঘোনা, আটারই, জেয়াল, বারুইহাটির পূৰ্ব্বধার, তালা, চাপানঘাট, খলিননগর, গঙ্গারামপুর, ঘোষনগর, কপিলমুনি, রামনাথপুর, গদাইপুর, মঠবাড়ী দিয়া পাইকগাছায় গিয়াছে। সেখানে শিবসা নদী পার হইয়া লক্ষ্মীথোল, গজালিয়া, আলমতল দিয়া মসজিদকুড়ে মিশিয়াছে ; তথা হইতে আমাদি ও পরে গভীর অরণ্যের মধ্যবৰ্ত্তী বেদকাশী নামক স্থানে গিয়াছে। এই পথের পাশ্বে স্থানে স্থানে কীৰ্ত্তিচিহ্ন আছে। মাগুরাঘোনায় একটি মসজিদ ও দীঘি ছিল। দীঘি এখনও আছে, মসজিদের চিহ্নও বিলুপ্ত হয় নাই। এই মসজিদে একখানি পাথর ছিল। আরসনগরে একটি মসজিদ ও দীঘি ছিল। সে দীঘি এখনও আছে, উহা উত্তর দক্ষিণে দীর্ঘ। এখনও উহাতে বেশ জল থাকে। দীঘির পশ্চিমকুলে ৪৫ × ৪• একটি মসজিদ ছিল, তাহার ভগ্নাবশেষ এখনও আছে। এই মসজিদে একখানি পাথরে ডগর অক্ষরে আরবী ভাষায় একটি লিপি ছিল। পাথরখানি এখনও আছে। এখনও উহার পাঠোদ্ধার করা হয় নাই। পাথরের একটা ছাপ লওয়া হইয়াছিল, কিন্তু তাহা হইতে পড়া যায় নাই। ভালভাবে পুনরায় ছাপ লওয়া আবশ্বক। পাথরখানি সাহাজী নামক এক ফকির জঙ্গলের মধ্যে মসজিদের ভগ্নাবশেষের উপর পান। উহা হইতে পঞ্চমপুরুষে সিরাজ, মফেজ ও অহেদ সেখ বর্তমান। ইহারা পুরুষানুক্রমে দুধাদি দিয়া পাখরখানির পূজা করিয়া আসিতেছে। পাথরখানি অন্ত কাহাকেও দিবে না। পাথরের পরিমাণ ১-৪ x৯ox৪৫% ওজন প্রায় পচিশ সের।