পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭૭ যশোহর-খুলনার ইতিহাস । দেশে প্রাচীন কীৰ্ত্তি রক্ষার ভার লওয়া যে কৃতিত্বের পরিচায়ক, তাহাতে সন্দেহ নাই । এই মসজিদের দক্ষিণ পশ্চিমদিকে বিস্তৃত কপোতাক্ষ, অন্ত তিনদিকে গড়খাই ছিল। এখনও দক্ষিণদিকে একটি পরিখা খালের আকারে আছে। নদীর দিক্‌ হইতে মসজিদের ফটো লওয়া হয় । মসজিদকুড়ের দক্ষিণ গায়ে আমাদি গ্রাম। আমাদি পুরাতন গ্রাম; ইহার সম্বন্ধে কিছু প্রাচীন কথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। আমাদি গ্রামে পশ্চিম দিকে নদীর কূলে বুড়া খাঁ ও ফতে র্থ উভয়ের কবর ছিল। অল্পদিন হইল বুড়া খার কবর ভাঙ্গিয়া নদীতে পড়িয়া গিয়াছে ; এখনও একটি গোলকচাপা ফুলের গাছতলায় ফতে খার সমাধির ভগ্নাবশেষ আছে। এখনও বহু হিন্দু মুসলমানে এই সমাধি স্থানে মানসা করে এবং তাহার চিহ্নস্বরূপ ফুলের গাছটির গাত্রে ইষ্টকখণ্ডসমূহ ঝুলাইয়। রাখিয়া যায়। বুড়া খা যে শুধু ধৰ্ম্মপ্রচার জন্ত এখানে ছিলেন তাহী নহে। তাহার প্রধান কাজ ছিল, রাজ্য শাসন ও জমিপত্তন। তাহার সমাধিস্থানের অনতিদূরে র্তাহার গড়বেষ্টিত কাছারী বাড়ী ছিল ; এখনও গড়ের এবং বাড়ীর ভগ্নাংশের নান চিহ্ন আছে। দুইদিকে নদী ও অপর দুইদিকে খনিত খালে পরিখার কার্য্য করিয়াছিল। এই খালকে এক্ষণে থানক বলে। নিকটে যে প্রকাণ্ড “কালিকা” দীঘি আছে, তাহ জনৈক প্রাচীন রাজা ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরি-কৃত । সে কথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। এ সম্ভবতঃ এই জন্তই এখানে বুড়া খাঁ কর্তৃক কোনও পুষ্করিণী খনিত হয় না । ইন্দ্রনারায়ণের সময় নির্দেশ করা যায় নাই । তিনি যদি বুড়া খার পরবর্তী যুগের লোক হন, তাহা হইলে হয়ত পাঠান আমলের দীঘিকে নিজের বলিয়া প্রচারও করিতে পারেন। কিন্তু ইন্দ্রনারায়ণ তত আধুনিক বলিয়া বোধ হয় না : বুড়া থ ফতে খ শুধু আমাদিতে থাকিতেন এবং অন্তত্র যাইতেন না, তাছা নহে। বাগেরহাটে বুড়া খণর দীঘি আছে। প্রতাপাদিত্যের রাজধানী যশোর ঈশ্বরীপুরে ও তাহার পশ্চিম দক্ষিণ কোণে এই দুইস্থানে বুড়া খণর আস্তান ছিল বলিয় প্রদর্শিত হয়। বেদকাশী আবাদে যে অতি প্রকাও “কালী-খালাস थीं”

  • २०s :
  • ...*