পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రి যশোহর-খুলনার ইতিহাস। যমুন-ইচ্ছামতী ও মধুমতীর মধ্যবর্তী তাহাই আমাদের আলোচ্য যশোহরু খুলনা । এই যুক্ত জেলাকে নদীর প্রবাহ দ্বারা উত্তর দক্ষিণে দীর্ঘ ভাবে তিনটি বিভাগ করা যায়। পূৰ্ব্বসীমা মধুমতী, তাহ হইতে কুমার নবগঙ্গা-চিত্র প্রভৃতি নদীশ্রেণী পর্য্যন্ত একভাগ, উক্ত নদীশ্রেণী হইতে কপোতাক্ষ পর্য্যন্ত দ্বিতীয় ভাগ, এবং কপোতাক্ষ হইতে যমুন-ইচ্ছামতী পৰ্য্যন্ত তৃতীয় ভাগ। প্রধানতঃ এই চারিটি নদীমাল দ্বারা উভয় জেলার জল-নিঃসরণ কাৰ্য্য সম্পন্ন হয়। এই তিনটির প্রত্যেকভাগে উত্তর হইতে আরম্ভ করিয়া দক্ষিণ দিকে ক্রমশঃ নিম্ন হইয়া গিয়াছে, এবং ক্রমশঃ লোক সংখ্যা কমিয়াছে। আবার পূর্ব পশ্চিমে দীর্ঘভাবেও এই ভূভাগকে তিন অংশে বিভক্ত করা যায়। যশোহরের উত্তর সীমা হইতে প্রধানতঃ ভৈরব নদ পর্য্যন্ত উত্তর ভাগ ; চব্বিশ পরগণা জেলার বস্তুরহাট হইতে খুলনার বাগেরহাট পর্যন্ত একটি কাল্পনিক রেখা টানিলে, ভৈরব নদ হইতে সেই রেখা পর্যান্ত মধ্যভাগ এবং সেই রেথ হইতে সমুদ্রকুল পর্যন্ত দক্ষিণ ভাগ। ইহার মধ্যে উত্তর ভাগ প্রায় সবই যশোহর জেলার মধ্যে পড়িয়াছে ; মধ্যভাগ যশোহর ও খুলনা উভয় জেলার মধ্যে প্রায় তুলাংশে বিভক্ত হইয়াছে ; এবং দক্ষিণ ভাগ অর্থাৎ সুন্দরবনাংশ সমস্তই খুলনা জেলার অন্তভুক্ত। এই তিন ভাগের প্রকৃতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। উত্তরভাগে জমি অত্যন্তউচ্চ, লোকসংখ্যা অধিক, উষ্ঠান যথেষ্ট, আম কঁঠাল খেজুর তাল প্রভৃতি ফলস্তৃক্ষ খুব বেশী এবং তাহাতে উপযুক্ত ও উৎকৃষ্ট ফল দেয় ; কিন্তু এ অংশে শস্তক্ষেত্র, বা মৎস্তপূর্ণ বিল ঝিল অধিক নাই ; শস্তক্ষেত্র যাহা আছে, তাহাতে ধান্ত অপেক্ষা নানাবিধ কলাই ও সরিষা, ধনিয়া প্রভৃতি রবিশস্ত অধিক জন্মে। মধ্যভাগে জমি অপেক্ষাকৃত নিম্ন ও লোকসংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম, উদ্যানভাগ অধিক নহে ; তাল, খেজুর, মুপারি, নারিকেল বেশ জন্মে বটে, কিন্তু আম কঁঠাল ভাল ফলে না। বিশেষতঃ আমে পোকা ও অশ্লাধিক্য জন্ত উহা এক প্রকার অখাদ্য। এ অঞ্চলে ধান্তক্ষেত্র অধিক, এবং যেখানে জমি বারমাস জলপ্লাবিত না থাকে, সেখানে স্বল্পায়াসে প্রচুর ধান্ত হয়। কিন্তু কলাই প্রভৃতি ফসল এ অঞ্চলে একপ্রকার হয় স্ব বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। এদিকে যেমন বিল ও জল জমি বেশী, তেমনি