পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ర్ని8 যশোহর-খুলনার ইতিহাস । করিত। তখন শুভরাঢ়ার পুৰ্ব্বভাগে যে লেবুখালির খাল ছিল, উহা নাকি ভৈরব অপেক্ষাও বড় ও প্রবল ছিল। চাদ সওদাগরের বাণিজ্যতরীসমূহ প্রধানতঃ এই লেবুখালির শোভা বৰ্দ্ধন করিত। শুভরাঢ়া গ্রামের একাংশে “সদার বাড়ীর পুকুর,” “পুড়ার পুকুর” প্রভৃতি এবং তাঁহাদের পাশ্ববৰ্ত্তী ইষ্টকরাশিপূর্ণ জঙ্গলসমূহ চাঁদের সহিত যে ঐতিহাসিক সংশ্ৰব ছিল, তাহ প্রবাদমুখে কীৰ্ত্তন করিতেছে। চাঁদ সওদাগর খাজাহানের পূর্ববর্তী বা পরবর্তী লোক তাহ নির্ণয় করিবার উপায় নাই। সম্ভবতঃ পয়ঃগ্রাম প্রদেশে পাঠান রাজধানী স্থাপিত হওয়ার পর, এই সকল স্থানে নানা ব্যবসায়ীর বসতি হয় ; চাঁদ সওদাগর উহাদের অন্যতম। শুভরাঢ়া গ্রামে ভৈরবকুলে একটি খাঞ্জালী মসজিদ আছে। ইহাতে একটি মাত্র গুম্বজ, চারিকোণে চারিটি মিনার ছিল। মসজিদের ভিতরের মাপ, ১৬ – ১০ x ১৬ – ১০% ইঞ্চি, উচ্চতা ২৫ ফুট। বাহিরের মাপ এক মিনারের মধ্যবিন্দু হইতে অন্য মিনারের মধ্যবিন্দু পর্যন্ত ২৮—৬ ইঞ্চি। উত্তর, পূৰ্ব্ব ও দক্ষিণে তিনটি দরজা আছে। পূৰ্ব্বদিকে সদর দরজা, উহার খিলান ১১ ফুট উচ্চ এবং ৪-১• প্রস্থ। এই মসজিদে অতি প্রকাণ্ড ও অতিক্ষুদ্র সব রকমের ইট ব্যবহৃত হইয়াছিল। ইটের পরিমাণ ১২ × ১০% হইতে ৪× × ৩ ইঞ্চি পর্যন্ত দেখা যায়। মন্দিরের অনেক অংশ ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে, তবুও বিশেষ বিশেষ পর্ক্সে এখানে নমাজ হইয়া থাকে। খাঞ্জালী শুভরাঢ় হইতে রাণাগতি, গোপীনাথপুর, নাউলী দিয়া ধূলগ্রামে উপনীত হন। তখন রাণাগাতির খাল ছিল কিনা সন্দেহ । নাউলী হইতে ধূলগ্রামের মধ্যে প্রকাও থাঞ্জালী রাস্ত এখনও বিদ্যমান রহিয়াছে; উহার পার্শ্বে একটি খাপ্পালী দীঘিও আছে। ধূলগ্রাম হইতে সোজা নদীর কূল দিয়া সিদ্ধিপাশার মধ্য দিয়া রাস্তা করিতে করিতে, খ। জাহান বারাকপুর উপনীত হন। তখন মুজদখালির খাল ছিল না। বারাকপুর নাম খাজাহানেরই প্রদত্ত বলিয়া বোধ হয়। পাঠান আমলে যেখানে যেখানে সৈন্তাবাস স্থাপিত হইত, সেখানেই বারাকপুর বা বারিকপুর নাম দেওয়া হইত। এই নামের উৎপত্তি সম্বন্ধে পরে আরও আলোচনা করা যাইবে। বারাকপুর হইতে খাজাহান ঘোষগতি, দীঘলিয়া প্রভৃতি গ্রামের মধ্য দিয়া স্বনিৰ্ম্মিত পথে সেনহাটির পশ্চিমাংশে উপস্থিত