পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২২ যশোহর-খুলনার ইতিহাস। করিয়াছি + তাহাতে তিনি নপুংসক ছিলেন বলিয়া জানা যায়। র্তাহার যে কোন পুত্রসন্তান ছিল না, তাহ সত্য। বাগেরহাট অঞ্চলে কোন স্থানে কোন কীৰ্ত্তিচিহ্নে বা গল্পগুজবে প্রসঙ্গক্রমেও খা জাহনের সন্তানাদির কথার উল্লেখ নাই। তিনি আজীবন অতি পবিত্রভাবে জীবনলীলা সম্পন্ন করিয়াছিলেন। র্তাহার যেরূপ প্রবল পরাক্রম এবং রাজকীয় প্রতিপত্তি ছিল, তাহাতে তিনি সাধারণ পাঠান রাজার মত ইচ্ছা করিলে বহু স্ত্রী গ্রহণ করিতে পারিতেন ; কিন্তু সেরূপ কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। পাঠান আমলের বহু অত্যাচারের কথা শুনা গিয়াছে, কিন্তু গা জাহান আলি বা তাহার অনুচর-সম্প্রদায় কখনও কোন স্ত্রীলোকের উপর অত্যাচার করিয়াছেন বলিয়া কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। ইন্দ্রিয়বিজয় যদি দেবতার চিহ্ন হয়, তবে খ জাহান ও তাহার আউলিয়াদিগকে পীর বলিতে কোন সম্প্রদায়ের আপত্তি হইতে পারে না। এই সকল প্রসঙ্গ হইতে অমুমান হয়, সোণাবিবি, রূপাবিবি র্তাহার বিবাহিত বা রক্ষিত স্ত্রী ছিলেন না । হয়ত তাহার দুইটি পরিচারিকার এইরূপ নাম ছিল। র্তাহার বিবাহিত। কোন স্ত্রী থাকিলে, তাহার সমাধি খ জাহানের সমাধির পাশ্বে দেখা যাইত, সহরে এক কোণে অতি হীনাবস্থায় একটি একগম্বুজ মসজিদে দেখা যাইত না। যেখানে নদীর উপর র্থ জাহানের বাটীর তোরণ ছিল, ঐ স্থান হইতে একটি রাস্ত পূৰ্ব্ব-দক্ষিণমুখে আসিয়া ষাট্‌গুম্বজের রাস্তায় মিশিয়াছে, অন্ত একটি রাস্ত পশ্চিম-দক্ষিণমুখে মগরাগ্রামের মধ্য দিয়া চলিয়া গিয়াছে, এবং তৃতীয় রাস্ত মগরার খালের কুল দিয়া সোজা পূৰ্ব্বমুখে গিয়াছিল। উক্ত তোরণদ্বারের অপর পারে গ্রামারাস্তা ও মগরার রাস্তার মধ্যস্থলে একটি প্রকাগু অট্টালিকার ভগ্নাবশেষ আছে, উহাই কেতিয়ালী চোঁতার, অর্থাৎ এইস্থানে সহরের অধ্যক্ষ বা কোতোয়াল সসৈন্তে অধিষ্ঠান করিতেন। ভৈরবের যে প্রাচীন খাতকে এক্ষণে মগরার খাল বলে, তাহাই ছিল মগরানদী। মগরানদী এখানে একটি বাক ঘুরিয়া অপর পারে বাগমারা গ্রাম গঠন করিয়াছিল। তাহার সেই বাকের মাথায় নগরপালের অবস্থান যে যুদ্ধনীতির সম্পূর্ণ অনুগত ছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। নগর নিৰ্ম্মাণের নিমিত্ত দূরদেশ হইতে যে প্রস্তরাদি নানা দ্রব্যজাত

  • २v७ श्रृं६ ।।